পাকিস্তান ক্রিকেট দল বাংলাদেশে চলে এসেছে।
আজ বাদে আগামিকাল পাকিস্তানী খেলোয়াড়রা অনুশীলনও শুরু করবে। কিন্তু স্বাগতিক বাংলাদেশ এখনও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলই ঘোষনা করতে পারেনি। বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে দল ঘোষনার দিন। এবার দল ঘোষনা নিয়ে কিছু জটিলতা আছে বলেই এই বিলম্ব।
কয়েক জন নতুন খেলোয়াড় দলে ঢুকবেন, কিছু অভ্যস্থ নাম বাদ পড়বেন; এসব বিষয় আছে। তবে বাতাসে জোর গুঞ্জন, মূল বিলম্ব হচ্ছে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বড় একটা অংশই চাচ্ছে, মুশফিকুর রহিমকে দল থেকে বাদ দিতে। নির্বাচকরাও এ বিষয়ে খুব দ্বিমত নন। তবে তারা অপেক্ষায় আছেন আরব আমিরাতে থাকা বোর্ড সভাপতির কাছ থেকে সংকেত পাওয়ার জন্য।
ফলে একটা কথা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, বোর্ড সভাপতি সংকেত দিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। আর তেমনটা হলে ৩৪ পার করে ফেলা সাবেক এই অধিনায়কের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার এখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
বাংলাদেশের বাকী সব ব্যাটসম্যানের মতই মুশফিকেরও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার বলার মত কিছু না। গড় ২০ রানের আশেপাশেই থাকে; এখন সেটা ১৯-এর সামান্য বেশি। বড় ইনিংসও খুব বেশি নেই। তারপরও ২০১৮-১৯ পর্যন্ত এই ফরম্যাটে তার কিছু ভূমিকা ছিলো। কিন্তু ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে এই ফরম্যাটে হাসতেই ভুলে গেছে মুশফিকের ব্যাটস।
সে বছর নভেম্বর থেকে এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে তার একটি মাত্র ফিফটি। সেটা এই বিশ্বকাপে; শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ওই ইনিংসটা বাদ দিলে টানা ব্যর্থতার মধ্যে আছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। দলের বিপর্যয়ের সময়ই সাধারণত উইকেটে যান। সে সময় গিয়ে ভুতুড়ে শট খেলে দ্রুত ফিরে বিপদ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
মুশফিক নিজেও বিবেচনাক্ষম মানুষ। তাই একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মুশফিকই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তিনি বোর্ডকে বলেছেন, এই ফরম্যাটে তাঁকে আর বিবেচনা না করার জন্য। এখন বোর্ড বা নির্বাচকরা কী করবেন, সেটা সময় বলে দেবে।
মুশফিক যদি টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ পড়েন, আপাতত এই ফরম্যাটে সিনিয়রদের মধ্যে থাকবেন কেবল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তামিম এই ফরম্যাটে অনেকদিন ধরেই খেলছেন না। সাকিব আল হাসানও আপাতত খেলতে পারছেন না। মাশরাফি তো নেই বহুকাল। রইলেন সবেধণ রিয়াদ। তিনিও কতদিন এই ফরম্যাটে থাকবেন, সেটা সময় বলে দেবে।
আপাতত একটু অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।