আভিজাত্যের ক্রিকেটে টেস্ট ফরম্যাট ঐতিহ্যের প্রতীক। আর এই টেস্টেই কিনা মুস্তাফিজুর রহমানের অনীহা। তাই ‘সুলতান অফ সুইং’ ওয়াসিম আকরাম তাঁকে রাখলেন সেরা পেসারের তালিকার তলানিতে।
পাকিস্তানের সাবেক পেস বোলার ওয়াসিম আকরাম সম্প্রতি ইউটিবের অনুষ্ঠানে তাঁর করা সেরা চার বাঁ হাতি পেসারে কথা জানান। যেখানে তিনি প্রত্যেককে আলাদা করে রেটিং দেন। পূর্ণ ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। তাঁর ঠিক পরেই আছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক, তাঁর পয়েন্ট ৯.৭৫।
তিন নাম্বারে আছেন বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা তরুণ পেসার আর্শদীপ সিং; তাঁকে ৮ পয়েন্ট দিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম। তবে সর্বশেষ পেসার হিসেবে মুস্তাফিজকে রেখেছেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তী। দ্য ফিজকে তিনি মাত্র ৭ পয়েন্ট দিয়েছেন, যা কি না তালিকার সর্বনিম্ন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি আপনাকে অর্থ এবং খ্যাতি দিবে। যদি কিংবদন্তী হতে চান, তবে আপনাকে ক্রিকেটের দীর্ঘ ফরম্যাটে খেলতে হবে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের টেস্ট খেলার মানসিকতা থাকা উচিত।’
মুস্তাফিজের বোলিং কেন এত বিপদজনক, তা জানতে চাওয়া হলে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘অনুশীলন অথবা তাঁর বল ডেলিভারী করার ধরণ। সে (মুস্তাফিজ) তাঁর আঙুলগুলোকে বল ছোড়ার আগে খুলে রাখে না। যার ফলে অ্যাকশন অপরিবর্তীত থাকে। একারণেই সে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে।
তিনি মুস্তাফিজের প্রসঙ্গে আরো বলেন, ‘তবে আমরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কথা বলছি। বিশেষ করে তাঁর কাটারগুলো নিয়ে। সে এই বিষয়ে বেশ দক্ষ। সে ইন-সুইং বল করতে শিখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর বলগুলো একটু ভেতরের দিকে আসছে (ডান হাতি ব্যাটারের ক্ষেত্রে)। এর আগে সে একই ধরণের বল করতো।’
ওয়াসিম আকরাম, যিনি ৪১৪ উইকেট নিয়ে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটের ক্যারিয়ার সমাপ্ত করেছে। অন্য দিকে ওয়ানডেতে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৫০২। তিনি মুস্তাফিজের বিষয়ে আরো বলেন, ‘সে অবশ্য কয়েকবার ইনজুরিতে পড়েছে, তাছাড়া টেস্ট ক্রিকেটেও তাঁর বেশ অনীহা রয়েছে।’
২৮ বছর বয়সী মুস্তাফিজ মাত্র ১৫ টি টেস্ট খেলেছেন; যেখান গত পাঁচ বছরে তাঁর টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা মাত্র ৩। তিনি ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন।ক্রিকেটের দীর্ঘ ফরম্যাটে মুস্তাফিজের অনাগ্রহ, তা সবারই জানা। তাইতো তাঁকে সীমিত ওভারের খেলায় অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।