কীর্তিপুর স্বাক্ষী হলো ক্রিকেটের নতুন এক কীর্তিতে। কাকতালীয়ভাবে, যার রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ডের সূচনা হলো, সেই কুশল মাল্লাও হয়ে গেলেন দর্শক। গত সেপ্টেম্বরে হাংঝুতে এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মাল্লা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেই ইনিংস বসে গিয়েছিল দ্রুততম সেঞ্চুরির আসনে। তবে মাস ছয়েক না পেরোতেই, সেই কুশল মাল্লারই রেকর্ড ভাঙলেন নামিবিয়ার এক ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড গড়েছেন নামিবিয়ার ইয়ান নিকোল লফটি ইটন।
কীর্তিপুরে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাত্র ৩৩ বলে। অথচ ইটন যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন ইনিংসের অর্ধেক পেরিয়ে গেছে। ১১ ওভারে সর্বসাকূল্যে ৬২ রানে ৩ উইকেট পতনে রীতিমত ধুঁকছিল কানাডা।
কিন্তু পাঁচ নম্বরে নেমেই সব দৃশ্যপট পাল্টে দেন ইটন। ছক্কার ঝড় তুলতে সময় নেন মাত্র ৩ বল। তৃতীয় বলে ছক্কার দেখা পেয়ে এরপর কীর্তিপুরের বাউন্ডারির বারবার আছড়ে ফেলেছিলেন এ ব্যাটার।
৫ চার আর ৪ ছক্কায় মাত্র ১৮ বলেই পৌঁছে যান ব্যক্তিগত অর্ধশতকে। অর্ধশতক পূরণের পর আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠেন ইটন। পরের ১৫ বলেই ১০ টা বলই তিনি পরিণত করেন বাউন্ডারিতে। আর এতেই ৩৩ বলে শতকের দেখা পেয়ে যান এ ব্যাটার।
তবে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান বনে যাওয়ার দিনে আরো একটা রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন লফটি ইটন। ৩৬ বলে ১০১ রানের ইনিংসে লফটি ইটন মারেন ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা। অর্থাৎ বাউন্ডারি থেকেই তিনি বের করেছেন ৯২ রান।
নামিবিয়ার হয়ে এর আগে বাউন্ডারি থেকে সর্বোচ্চ ৮২ রানের রেকর্ড ছিল জিন-পিয়ের কোটজের। নেপালের বিপক্ষে এ দিন সেই রেকর্ডটিকেই ছাপিয়ে যান লফটি ইটন।
লফটি ইটনের ব্যাটিং তাণ্ডবে এ দিন শেষ ৯ ওভারে ১৪০ রান তোলে নামিবিয়াও। ফলত ২০ ওভার শেষে ২০৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় তাঁরা। আর সেই রান তাড়া করতে নেমে ১৮৬ রানেই থেমে যায় নেপালের ইনিংস। ইটনের ইতিহাস গড়ার দিনে তাই জয়ের পুষ্পমাল্যও যায় নামিবিয়া শিবিরে।