সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বেশ কয়েক বছর ধরেই ফিনিশারের অভাবে ভুগছে বাংলাদেশ। নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে বার বার সুযোগ দিলেও কেউই থিতু হতে পারেননি। গত দুই সিরিজে সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ ছিলেন আফিফ হোসেনও।
এরা সবাই যখন বার বার ব্যর্থ হয়েছেন তখন বয়সভিত্তিক দল থেকে শুরু করে ঘরোয়া লিগ গুলোতে এই পজিশনে ব্যাট হাতে নিয়মিত ঝড় তুলেছেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। তার এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসাবেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পেয়েছেন অনূর্ধধ-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী তরুণ এই অলরাউন্ডার।
শুধু মাত্র ব্যাট হাতেই নয়; আঁটসাঁট বোলিংয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত ফিল্ডিং করতেও পারদর্শী এই অলরাউন্ডার। এই সব কিছুর জন্যই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। নান্নু বিশ্বাস করেন শামীমের যে স্কিল তাতে তাঁকে দিয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে উপকৃত হবে দল।
তিনি বলেন, ‘শামিম অনূর্ধ্ব-১৯ দল শেষ করে এইপিতে যোগ দিয়ে ছিল। যখন আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। তখন থেকেই ওকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ও যথেষ্ট ভালো খেলেছে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ এর বিপক্ষে। আমাদের সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও যথেষ্ট ভালো খেলেছে। আশা করছি ওর যে স্কিল আছে তাতে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে আমরা অনেক উপকৃত হব।’
চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে রয়েছেন শামীম হোসেন। এবারের আসরে ১৪ ম্যাচে ৩০.১৬ গড়ে ১৪৯.৫৮ স্টাইকরেটে ১৮১ রান সংগ্রহ করেছেন শামীম। যেখানে তার সর্বোচ্চ রান ১৭ বলে ৪৯। এছাড়া বল হাতে বেশ কয়েকটি উইকেটও রয়েছে তার।
এর আগে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জেমকন খুলনার হয়ে নিজের পজিশনে কতটা কার্যকর এটা প্রমাণ করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। এর পর ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডস উলভসের সাথে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়েও ম্যাচ জয়ী ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন শামীম হোসেন। বিভিন্ন সময়ে খেলা প্রস্তুতি ম্যাচ গুলোতেই নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি বার বার।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি
- একমাত্র টেস্ট: ৭-১১ জুলাই
- প্রথম ওয়ানডে: ১৬ জুলাই
- দ্বিতীয় ওয়ানডে: ১৮ জুলাই
- তৃতীয় ওয়ানডে: ২০ জুলাই
- প্রথম টি-টোয়েন্টি: ২৩ জুলাই
- দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: ২৫ জুলাই
- তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: ২৭ জুলাই
সব গুলো ম্যাচই অনুষ্টিত হবে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। টেস্টের প্রতি দিনের খেলা এবং ওয়ানডে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ গুলো শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে চারটায়।