পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বিরাট কোহলির জ্বলে ওঠার পালা, তাই তো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ‘ডিসাইডিং ফ্যাক্টর’ ভাবা হয় তাঁকে। কিন্তু এবার আর তেমন কিছু করতে পারেননি তিনি, কেননা পাকিস্তান দলে ছিলেন নাসিম শাহ। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে কাটা পড়তে হয়েছিল তাঁকে; অবশ্য এই বোলার পুরো ইনিংস জুড়েই ত্রাস ছড়িয়েছেন এদিন। যদিও হারের পর ম্যাচটা শেষ হয়েছে তাঁর কান্না দিয়ে।
ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ ঘিরে যতটা আলোচনা হয়েছে শাহীন শাহ আফ্রিদি কিংবা মোহাম্মদ আমিরকে নিয়ে, সেই তুলনায় আড়ালেই ছিলেন তিনি। হয়তো মাঝের সময়টা ইনজুরিতে থাকার কারণেই তাঁকে নিয়ে খুব বেশি কাটছেরা করেনি বিশ্লেষকরা। তবে মাঠের খেলায় ঠিকই নিজেকে নতুন করে চেনালেন।
এদিন ভারতের বিপক্ষে চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২১ রান খরচ করেছেন এই পেসার, বিনিময়ে শিকার করেছেন গুরুত্বপূর্ণ তিন তিনটি উইকেট। ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপে ধ্বস নামানোর কারিগর তিনিই, তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদেই প্রত্যাশিত পুঁজি জমা করতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া।
নতুন বলে কোহলিকে শিকার করেছিলেন নাসিম, সেই গল্প তো আগেই বলা শেষ। এরপর তিনি একে একে ফিরেছেন অক্ষর প্যাটেল এবং শিভাম দুবেকে। শুরুর বিপর্যয় পেরিয়ে ভারত যখন অক্ষর-পান্তের জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল তখনই আঘাত হেনেছিলেন এই ডান-হাতি, এরপর আবার দুবেকে ফিরিয়ে ভারতীয় মিডল অর্ডারকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
কেবল উইকেট শিকার নয়, তিনি যেভাবে বোলিং করেছেন সেটাই বারবার মোমেন্টাম এনে দিয়েছে দলকে। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে টানা বল করে বিরাটকে ফাঁদে ফেলা কিংবা অক্ষরকে সরাসরি বোল্ড সবকিছুতেই ছিল নিখুঁত পরিকল্পনার ছাপ। আর পুরো স্পেল জুড়েই ব্যাটারদের চাপে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তিনি, যেটার ফায়দা নিয়েছেন বাকি বোলাররা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে পাকিস্তান হারলেও এই তারকা ঠিকই পারফর্ম করেছিলেন। কি জানি, হয়তো সুপার ওভারে তাঁকে সুযোগ দিলে ফলাফল অন্য রকম হতে পারতো। তবে পুরনো দিন ভুলে তিনি আবারো পারফর্ম করেছেন, হাইভোল্টেজ ম্যাচের চাপ পাশে সরিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, ইনিংসের সেরা বোলার ট্যাগ তাই তাঁর প্রাপ্য।