অনেক সাধনার পর ফেরানো গিয়েছে তাঁকে। সবকিছু ঠিক থাকলে মোহাম্মদ আমিরকে দেখা যেতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আর তাতে উচ্ছ্বসিত গোটা পাকিস্তান দল। পেস বোলিং বিভাগও আগের থেকে শক্তিশালী হবে, মনে করছেন আরেক পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহ।
জাতীয় দলের হয়ে মোহাম্মদ আমির শেষবার খেলেছিলেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। অবসর ভেঙ্গে আবারো জাতীয় দলে ফিরেছেন নিউজিল্যান্ড সিরিজের মধ্য দিয়ে। বিশ্বের বিভিন্ন লিগে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় আমির দলের জন্য বেশ কাজে আসবে বলে মনে করেন নাসিম।
বিশ্বকাপে আমিরের প্রত্যাবর্তন নিয়ে নাসিম বলেন, ‘কোনো খেলোয়াড় যখন দলের জন্য পারফর্ম করে, দলের কাজে আসে, তখন তা সত্যিই আমাদের জন্য আনন্দায়ক। আমিরের অভিজ্ঞতার বিশাল ভান্ডার রয়েছে। তিনি বিভিন্ন লিগে খেলেছেন। তাই দলে তাঁর সংযুক্তি অবশ্যই উপকারে আসবে।’
তাছাড়া আসন্ন বিশ্বকাপ সম্পর্কে পাকিস্তানের এই পেস সেনসেশন বলেন, ‘আমাদেরকে প্রতিটা ম্যাচই জিততে হলে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আমাদের জয়ের ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। আর তাছাড়া টুর্নামেন্টের প্রতিটাই দলই শক্তিশালী।’
সম্প্রতি শেষ হওয়া ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ধকল ইতিমধ্যেই কাটিয়ে উঠেছেন বলে জানান নাসিম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ খেলার পর তাঁর শরীর এখন আবার স্বাভাবিক হয়েছে।
জানিয়ে রাখা ভালো পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি আর তারপর চারটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য ১৮ সদস্যের স্কোয়াড গঠন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আর সেখান থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল সাজাবে পাকিস্তান।
৩৫ বছর বয়সী আমির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ২০২০ সালে। ওই ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ২২ মে আবারো সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই মাঠে নামবে পাকিস্তান। আর আগামী জুনে পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। এখন দেখার বিষয় মোহাম্মদ আমিরের প্রত্যাবর্তন পাকিস্তানের জয়ে কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে।