তাইজুল ইসলাম নাকি নাসুম আহমেদ – এশিয়া কাপের দলে জেনুইন স্পিনার হিসেবে কে থাকবেন সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। শেষমেশ অবশ্য নির্বাচকরা বেছে নিয়েছিলেন নাসুমকে, কেন সেদিন তাঁকে বেছে নেয়া হয়েছিল সেটাই এবার কলম্বো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেখিয়ে দিলেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার।
টসে জিতে আগে বোলিং নেয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে ইকনোমিক্যাল বোলার নাসুম আহমেদ। পুরো দশ ওভারেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে গিয়েছেন তিনি। তাঁর নিয়ন্ত্রিত লাইন লেন্থে হাসফাস করেছেন প্রায় সব ডানহাতি ব্যাটার – ফলে একের পর এক ডট আদায় করে নিয়েছেন নাসুম।
সবমিলিয়ে দশ ওভারে নাসুম আহমেদ খরচ করেছেন মাত্র ৩১ রান। কোন উইকেট না পেলেও ৬০ বলের মাঝে ৩৭ বলে কোন রানই দেননি, বাউন্ডারি হজম করেছেন মাত্র মাত্র দুইটি।
দশম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসেছিলেন নাসুম আহমেদ। সেই ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র দুই রান। এরপর ১৪ থেকে ২০ ওভার পর্যন্ত টানা চার ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেছেন স্রেফ আট রান। এভাবেই মাঝের ওভারগুলোতে লঙ্কানদের রান তোলার গতি অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছিলেন এই বামহাতি স্পিনার।
নিজে কাউকে প্যাভিলিয়নে ফেরাতে না পারলেও নাসুম আহমেদের টাইট বোলিংয়ে সতীর্থ বোলাররা সুবিধা পেয়েছেন ঠিকই। তাঁর কিপটে ওভারগুলোর কারণে অন্য পাশ থেকে আক্রমণাত্মক মনোভাবে বোলিং করা গিয়েছে, ফলে নিয়মিত বিরতিতেও উইকেটও হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
স্কোরকার্ড দেখলে হয়তো নাসুম আহমেদের পারফরম্যান্স অনুভব করা যাবে না। কোন উইকেট পাননি, মনে হতেই পারে সাদামাটা বোলিং। কিন্তু শ্রীলঙ্কান ব্যাটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কাজটা করেছেন নাসুম; আগের ওভারে একটু বেশি রান দিলে ঠিক পরের ওভারে ক্রিজে এসে সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
কোন ব্যাটারই একবারের জন্যও নাসুমের বিরুদ্ধে আগ্রাসন দেখাতে পারেননি। সত্যি বলতে সাদা বলে রান আটকানোর জন্য তিনি দারুণ এক অস্ত্র। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণেই রঙিন পোশাকে তাইজুল ইসলামের চেয়ে এগিয়ে রাখা হয় তাঁকে, টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মত সুযোগ পেয়ে সেটিই প্রমাণ করলেন নাসুম আহমেদ।
শুধু নাসুম নয়, মিতব্যায়ী বোলিং করেন সাকিব আল হাসানও। এই দু’জন মিলে ২০ ওভারে গুণেছেন মাত্র ৭৫ রান। শ্রীলঙ্কার ইনিংসটা আরও বড় হতে পারেনি কেবল এই দু’জনের সৌজন্যে।