প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করলেও চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডে বিবর্ণ ছিলেন পেসার মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। রংপুর বিভাগের হয়ে দুই ইনিংসে শিকার করেছিলেন মাত্র ১ উইকেট। বোলারদের ব্যর্থাতায় তাঁর দলও হেরেছিলো প্রথম রাউন্ডে।
তবে ঘুড়ে দাঁড়াতে বেশী সময় নেননি এই পেসার। এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই বল হাতে জ্বলে উঠেছেন মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানে ৬ উইকেট শিকার করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬৭ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। মুগ্ধর বোলিং তোপে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুভাস পাচ্ছে রংপুর বিভাগ।
আগামীকাল শেষ দিনে রংপুর বিভাগের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১০১ রান; হাতে রয়েছে সব গুলো উইকেট। ১১৭ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে কোন উইকেট না হারিয়ে ১৬ রান সংগ্রহ করেছে রংপুর বিভাগ। এর আগে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২১ রানেই গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৯ রানে অলআউট হয় খুলনা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে রংপুর বিভাগের সংগ্রহ ছিলো ৩৬৪ রান।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের আরেক ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছে সিলেট বিভাগ। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান সংগ্রহ করে ইতিমধ্যে ২৭৩ রানের লিড নিয়েছে সিলেট বিভাগ। আসাদুল্লাহ গালিব ৭৪ ও তানজিম হাসান সাকিব ২৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
এর আগে জাকির হাসানের সেঞ্চুরি এবং জাকির আলী ও আসাদুল্লাহ গালিবের হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৭০ রান সংগ্রহ করে সিলেট বিভাগ এবং প্রথম ইনিংসে শুভাগত হোমের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২৮০ রান সংগ্রহ করেছিলো ঢাকা বিভাগ।
কক্সবাজারে চট্টগ্রাম বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচটি নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে দুই দলের মাত্র এক ইনিংস করে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৪৩ রান করা চট্টগ্রাম বিভাগ ১৭৮ রানের লিড পেলেও শেষ দিনে তাঁরা চাইবে নিরাপদ স্থানে গিয়ে ইনিংস ঘোষণা করতে।
আর সে ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোকে দ্বিতীয় ইনিংসে অল আউট করার পর্যাপ্ত সময় নাও পেতে পারে চট্টগ্রাম বিভাগের বোলাররা। এর আগে পিনাক ঘোষের সেঞ্চুরিতে ৪০২ রানের পাহাড় গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে চট্টগ্রাম বিভাগ এবং প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রান সংগ্রহ করে ঢাকা মেট্রো।