দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা আর নেদারল্যান্ডস – গ্রুপ ডি এর চারটি দলই সুপার এইটের দাবিদার ছিল। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই চার দলের যেকোনো দুই দল সেরা দুইয়ে জায়গা পাওয়ার সামর্থ্য রাখে। তাই তো গ্রুপটিকে বলা হয়েছিল গ্রুপ অব ডেথ, যদিও গ্রুপ অব ডেথের ভবিষ্যৎ এখন প্রায় চূড়ান্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের পরেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো প্রোটিয়াদের। কিন্তু বাকি তিন দলের ভাগ্য ঝুলে ছিল নেদারল্যান্ডস বনাম বাংলাদেশ দ্বৈরথের ওপর; আর এই দ্বৈরথে বাংলাদেশ জিতে যাওয়ায় সেরা আটে এক পা দিয়ে রাখলো টাইগাররা।
বাংলাদেশের এই জয়ের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কা ছিটকে যাওয়াও নিশ্চিত। এই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস জিতলেও তাই হত, কেবল ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলে সুযোগ থাকত শ্রীলঙ্কার।
কিন্তু কাগজে কলমে এখনি নিশ্চিত নয় কোন কিছু; অবাক করার মত হলে সত্য যে, সমীকরণ মিলে গেলে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে নেদারল্যান্ডস চলে যেতে পারে পরের পর্বে! কিন্তু কিভাবে সেটাই এখন দেখে নেয়া যাক।
তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা টাইগারদের জন্য সমীকরণ একেবারে সোজা। নিজেদের শেষ ম্যাচে জিততে হবে নেপালের বিপক্ষে, তবে নেদারল্যান্ডস হেরে গেলে আবার জয়ের বাধ্যবাধকতা নেই।
আবার বাংলাদেশ-নেপাল কিংবা নেদারল্যান্ডস-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের কোনটিতে যদি বৃষ্টি হানা দেয় এবং খেলা সম্পন্ন করা না যায় তাহলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী হিসেবে সুপার এইটে চলে যাবে টিম টাইগার্স। কিন্তু যদি বাংলাদেশ হেরে যায়, এবং সেই সাথে নেদারল্যান্ডস জেতে সেক্ষেত্রে চলে আসবে নেট রান রেটের হিসেব।
আপাতত নাজমুল শান্তর বাহিনীর নেট রান রেট +০.৪৮, অন্যদিকে স্কট এডওয়ার্ডসদের সেটি -০.৪১! সংখ্যাতত্ত্বেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দুই দলের ব্যবধান। তাই ডাচদের জন্য সুপার এইটের স্বপ্ন এখন দূরের শুকতারা বটে, তাছাড়া প্রতিপক্ষ বিবেচনায়ও পিছিয়ে থাকবে তাঁরা। শেষ ম্যাচ খেলতে হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
কাগজে কলমে ভাল ভাবেই সুযোগ আছে নেপালের। তাঁদের গ্রুপ পর্বে আরও দু’টো ম্যাচ বাকি। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ। দু’টো ম্যাচ জিতলে কোনো হিসাব ছাড়াই তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে চলে যাবে সুপার এইটে। তবে, একটা ম্যাচ হারলেই বাদ পড়বে।