বল পজেশন নেদারল্যান্ডসের ৭৫ ভাগ, বসনিয়ার ২৫ ভাগ। নেদারল্যান্ডস সবমিলিয়ে শট নিয়েছে ২৮টি, বসনিয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা স্রেফ চার। আবার ডাচদের দশটা কর্নারের বিপরীতে প্রতিপক্ষ পেয়েছে কেবল একটি কর্নার – নেদারল্যান্ডস বনাম বসনিয়া ম্যাচের পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই স্পষ্ট হয়ে যায় কতটা এক তরফা ম্যাচ দেখতে হয়েছে দর্শকদের।
স্কোরবোর্ডও বলে একই কথা, ৫-২ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে কমলা জার্সিধারীরা। কিন্তু ম্যাচের গল্প এতটাও সহজ ছিল না, কিছুটা হলেও ঘাম ঝরাতে হয়েছে বটে।
শুরুতে অবশ্য নেদারল্যান্ডসের উত্থান কেবল, ১৩ মিনিটের মাথায় গোল করে বসেন জসুয়া জিরকজি। কিন্তু লিড ধরে রাখতে পারেনি তাঁরা, অল্প সময়ের ব্যবধানে সমতাসূচক গোল করেন এরমেদিন দেমিরোভিচ। এরপর সমতায় থেকেই বিরতিতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল তাঁরা। যদিও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে ডাচ তারকা রেইজনডারস প্রায় একক প্রচেষ্টায় পেয়ে যান জালের দেখা।
দ্বিতীয়ার্ধে তিনিই আবার ব্যবধান বাড়িয়েছেন, কডি গ্যাকপোর গোলে অ্যাসিস্টটা তাঁরই। ৩-১ গোলে এগিয়ে নেদারল্যান্ডস তখন জয় নিশ্চিত ধরে নিয়েছিল, কিন্তু নাটকীয়তার তখন শুরু।
স্রোতের বিপরীতে গিয়ে গোলের দেখা পান বসনিয়ার অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার এডিন ডেকো। তবে কামব্যাক পূর্ব করার আগেই নেদারল্যান্ডসের ফুটবলারদের তোপের মুখে পড়ে তাঁরা। ৮৮ মিনিটো ওয়াট উইগোর্স্ট গোল করে ডাচদের সব শঙ্কা দূর করেন। আর ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে জাভ সিমন্স পরাস্ত করেন ভাসিলজিকে।
একই গ্রুপের অন্য ম্যাচে জার্মানি স্রেফ ছেলেখেলা করেছে হাঙ্গেরিকে নিয়ে। নেদারল্যান্ডসের এমন পারফরম্যান্স সেটারই একটা পরোক্ষ জবাব ধরা যেতে পারে। দিন দুয়েক পরেই মুখোমুখি হবে দুই হেভিওয়েট দল, জার্মানির ৫-০ গোলে জয় পাওয়ার পর ডাচদের জন্য এই জয়টা বড্ড প্রয়োজন ছিল। তা না হলে আত্মবিশ্বাসে বড়সড় ঘাটতি থেকে যেত তাঁদের।