বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পেরুর বিরুদ্ধে খেলার আগ দিয়ে ব্রাজিল শিবির ছিল বেশ থমথমে। নেপথ্যে অধিনায়ক দানিলোকে দল থেকে বাদ দেয়া। তবে ম্যাচ শেষে সে কালো মেঘ অনেকটাই সরে গেছে। আশার আলো বয়ে এনেছেন ২৩ বছর বয়সী রাইট ব্যাক ভেন্ডারসন।
মোনাকোতে খেলা এই রাইট ব্যাক পেরুর বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠেন। ৫৬ টি পাসের মাঝে ৫০ টিই ছিল সফল। দুটি সুযোগ তৈরির নেপথ্যের কারিগরও ছিলেন তিনি। ছ’টির ভেতর চারটি ডুয়েলেও সফল হয়েছেন তিনি।
পেরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে ৩ টি ইন্টারসেপশনও করেন তিনি। প্রতিপক্ষের অর্ধ থেকে দুইবার বল রিকভারিতেও দেখা গেছে তাঁকে। তাছাড়া লং বলেও ৬০ শতাংশ সাফল্য এসেছে তাঁর।
এদিকে দানিলো ক্লাব দল জুভেন্টাসের মূল একাদশ থেকেও বাদ পড়েছেন। একে চলছে ফর্ম খরা। অন্যদিকে,কেবল রক্ষণ-ধর্মী রাইট ব্যাক তিনি।
এক সময় কাফুর মতও আক্রমনাত্মক রাইট ব্যাকের দেশে এমন একঘেয়ে রাইট ব্যাক আদতেই অস্বাভাবিকই বটে। ব্রাজিল ভক্তদেরও তাই মন জয়ে ব্যার্থই বলা চলে দানিলোকে। তবুও অভিজ্ঞ অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
সেই হিসেবে কোচ ডরিভাল জুনিয়রের সাহসও সুনামের দাবি রাখে। আজ মারকিনিওসকে অধিনায়ক করে ভেন্ডারসনকে দানিলোর স্থানে খেলিয়েছেন।
ভেন্ডারসনও সে সুযোগকে পুরো দমেই কাজে লাগিয়েছেন। পেরুকে কেবল রক্ষণভাগেই পরাস্ত করেই ক্ষান্তি দেননি। সমান তালে সাহায্য করেছেন আক্রমন ভাগেও। মজার তথ্য দিয়ে রাখি। অভিজ্ঞ পারফর্ম্যান্স দেয়া ভেন্ডারসনের ব্রাজিল জার্সিতে এটা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ।
অভিজ্ঞ অধিনায়ক দানিলোর এক রকম বিকল্প খরাতেই ভুগছিল ব্রাজিল দল। তবে পেরুর বিরুদ্ধে ভেন্ডারসনের খেলা সেই খরা বেশ সরবেই ঘুচিয়েছে। আগামী ম্যাচ গুলোতে সমান তালে ভাল খেলবেন কিনা তা কেবল সময় দেবের হাতেই না। সাথে সেলেসাও কোচ ডোরিভালের ওপরও দায়িত্ব কম নয়। তাঁকেই তো দেখে রাখতে হবে ভেন্ডারসনকে।