সায়িম নাকি রিজওয়ান, কে হবেন বাবরের ওপেনিং পার্টনার!

জনমনে নতুন এক শঙ্কা দিয়েছে মাথাচাড়া। বিশেষ করে পাকিস্তানের ভক্তদের মনে জেগেছে প্রশ্ন। পাকিস্তানের ধুকতে থাকা ওপেনিং নিয়ে সন্দিহান সকলেই। কেননা সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের ওপেনিংটা ঠিকঠাক জমছে না। জুটি হচ্ছে না বড়, কার্যকারিতা যেন প্রায় নেই বললেই চলে। বিশ্বকাপে তা পাকিস্তানের ভরাডুবির কারণ হবে।

এমন ধারণা এসেছে মূলত সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটির ব্যর্থতার কারণে। যদিও পাকিস্তানের নির্বাচকরা মনে করেন যে ওপেনিংয়ে পরিবর্তনের বিশেষ প্রয়োজন নেই। তাঁদের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হতে একটু সময় প্রয়োজন স্রেফ।

সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। সেই সিরিজের চারটি ম্যাচে বাবরের সাথে পাকিস্তানের ইনিংস উদ্বোধন করেছেন তরুণ সায়িম আইয়ুব। মূলত মারকাটারি ব্যাটিং করতে পারেন বলেই বেশ সুখ্যাতি ছড়িয়েছে সায়িমের। যদিও পাকিস্তানের জার্সি গায়ে সাম্প্রতিক সময়টা মোটেও ভাল কাটেনি তার।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচে ব্যাটিং করে রান করেছেন মাত্র ৫৭। প্রায় ১৩০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসগুলোতে ছিল না সেই মারকাটারি ব্যাটিংয়ের যথাযথ প্রতিচ্ছবি। তাছাড়া প্রতিটি ম্যাচেই বাবরকে লম্বা সময় সঙ্গ দিতে পারেননি সায়িম। ব্যতিক্রম স্রেফ তৃতীয় ওয়ানডে। সেদিন এই দুইজনে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। বাকি দিনগুলো ছিল ব্যর্থতার।

সেজন্যেই কেউ কেউ আবারও বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি দেখতে চাইছেন। এমনকি সাবেক অনেক ক্রিকেটারও আগের জুটি ফিরিয়ে নিয়ে আসার পক্ষে কথা বলেছেন। যদিও পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট পেছনের দিকে হাটতে চাইছে না। তাছাড়া পাকিস্তানের নির্বাচক প্যানেল মনে করে বাবর ও রিজওয়ান আস্থাভাজন।

এ নিয়ে পাকিস্তানের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ওয়াহাব রিয়াজ বলেন, ‘আপনি যখন একটি দল গঠন করেন, তখন আপনি আপনার প্রধান খেলোয়াড়দের বা যাদের উপর দল নির্ভর করতে পারে তাদের বাছাই করেন, এবং এই মুহুর্তে, নিঃসন্দেহে পাকিস্তান দলে বাবর এবং রিজওয়ান তেমন খেলোয়াড়।’

এই দুইজন খেলোয়াড়কে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে চায় পাকিস্তান ঠিক সে কারণেই উদ্বোধনী জুটিতে এনেছেন পরিবর্তন। ওয়াহাব বলেন, ‘সেজন্য শুরুতে বাবর বা রিজওয়ানের সাথে আমাদের কাউকে দরকার এবং তেমন রোলে সায়িম আছে আমাদের। সে আরও আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় যে কিনা ওপেনিংয়ে আক্রমণাত্মক হতে পারেন।’

এছাড়া পাকিস্তানের আরও একটি দুশ্চিন্তার জায়গা মিডল অর্ডার। সেখানেও একজন দায়িত্বশীল ব্যাটারকে চাইছে দলটি। সে কারণেই আস্থা রাখা হচ্ছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের উপর। ওয়াহাব বলেন, ‘তারপর, মাঝের ওভারগুলোতে যেখানে আমরা সমস্যায় পড়ি, সেখানে আমাদের এমন একজন খেলোয়াড় দরকার যে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারে। সুতরাং, আমি মনে করি এসবকিছুই পরিকল্পনার অংশ।’

তবে যদি কখনো মনে হয় যে পরিকল্পনা একেবারেই কাজ করছে না তখন তারা পরিবর্তন করবেন তাদের পরিকল্পনা। তবে এখনই ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আনতে নারাজ পাকিস্তান। সায়িমের উপরই রাখছে ভরসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link