নো-বল নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই!

ভারত পাকিস্তান লড়াই আর বিতর্ক উভয়েই যেন একই গোয়ালের গরু। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ হবে আর বিতর্ক হবে না তা তো ভাবাই যায় না। গত রোববার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ২০২২ টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ম্যাচে জমজমাট লড়াইয়ে শেষ বলে পাকিস্তানকে চার উইকেটে হারালো ভারত। এ ম্যাচেও যথারীতি হাজির বিতর্ক। সম্পূর্ণ ম্যাচে দু দল দারুণ ক্রিকেট খেললেও শেষ তিন বলের বিতর্কে মুখর ক্রিকেট পাড়া। 

মোহাম্মদ নাওয়াজের করা শেষ ওভারের তৃতীয় বলে উচ্চতার কারণে বিরাট কোহলি নো বলের আবেদন করলে আম্পায়ার রড টাকার ও ম্যারিয়াস ইরাসমাস নো বলের ঘোষণা দেন। এ নিয়ে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম মাঠের আম্পায়ারের নিকট প্রতিবাদ জানালেও আম্পায়ার তাঁর সিদ্ধান্তে বহাল থাকেন।

এরপরের বলে আবারও বিতর্ক। ফ্রি হিট বল  বিরাট কোহলির বড় শট খেলতে গেলে মিস করে স্ট্যাম্পে লাগলে। আর স্ট্যাম্পে লাগা মাত্রই বল উইকেটের পেছনের বাউন্ডারির দিকে ছুটে যায়। ফ্রি হিট বল হওয়ায় আর ফিল্ডার সামনে থাকায় এই সুযোগে দুই ব্যাটার বিরাট কোহলি ও দীনেশ কার্তিক দুজনে তিন রান নিয়ে নেয়।

যা নিয়ে আবারও প্রতিবাদ পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের। তাদের দাবি, ফ্রি হিট বল স্ট্যাম্পে লাগা মাত্রই ডেড হয়ে যাবে। তবে আম্পায়াররা ঠিকই বাই রানের ঘোষণা দেন। এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার সাইমন টফেল।

অস্ট্রেলিয়ান এই আম্পায়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের রোমাঞ্চকর ম্যাচের পর অনেকেই আমাকে অনুরোধ করেছেন ওই ফ্রি হিট নিয়ে কথা বলতে। তারা বাই রানের আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ব্যাখ্যা চেয়েছেন।’

তিনি আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকেই সঠিক বলে দাবি করে বলেন, ‘আইসিসির নিয়ম মেনেই মাঠের আম্পায়াররা সঠিক সিদ্ধান্তই দিয়েছেন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ফ্রি হিট বলে কোনো ব্যাটার বোল্ড আউট হতে পারেন না। এমনকি বল যদি স্ট্যাম্পে লাগে তাহলে বল ও ডেড বলে ঘোষণা করা হবে না।’

সাইমন টফেলের ভাষ্য মতে, আইসিসির নিয়ম অনুসারে ফ্রি হিট বল কোহলি মিস করে স্ট্যাম্পে লাগলেও বলটি ডেড হয়নি এবং ভারতীয় ব্যাটারদের নেওয়া বাই রান গুলো বৈধ।

সাইমন টফেল সাবেক অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার। যিনি ১৯৯৯ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা পাঁচবার আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

২০১২ শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনার মাধ্যমে তার আম্পায়ার ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটে। ১৯৯৯ থেকে ২০১২ সময়কালে তাকে অন্যতম সেরা আম্পায়ার হিসেবে গণ্য করা হত। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ান টিভি ‘চ্যানেল সেভেনে’ তিনি টেস্ট ধারাভাষ্যকার হিসেবে যোগ দেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link