আইপিএল জয়ী অধিনায়কের কথা রাখেনি বিসিসিআই!

বিশ্বকাপের পর থেকেই পিঠের ব্যথায় সাদা পোশাকে খেলতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল ভারতের ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ারকে। তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন, তবে পাত্তা দেয়নি কেউই। ডান হাতি এই টপ অর্ডারের ব্যাটার সেই পুরনো ক্ষোভই ঝাড়লেন এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালের আগে।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক আইয়ার বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর টেস্ট ক্রিকেটের জন্য আমি অবশ্যই পরিশ্রম করছিলাম। যখন আমি আমার সমস্যার কথা বললাম, তখন কেউই কোনো সাড়া দেয়নি। কিন্তু একই সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা ছিল আমার নিজের সাথেই। তখন আমি দেখতে চেয়েছিলাম যে আমি আমার সেরাটা দিতে পারছি কিনা, তাছাড়া আমরা কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নিয়ে  বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছি। যাতে টুর্নামেন্টে ভালো অবস্থানে থাকতে পারি। আর সেটার ফল আজ আমরা নিজেরাই দেখতে পারছি।’

গত বছর বিশ্বকাপে খেলার আগে, এশিয়া কাপে ফেরার জন্য আইয়ার তাঁর পিঠের ইনজুরি থেকে সেরে উঠেছিলেন। আর এই বছরের শুরুর দিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটি টেস্ট ম্যাচের জন্য নির্বাচিতও হয়েছিলেন।

তবে, বাকি তিন টেস্টে ছিলেন দলের বাইরে। ঐ সময় বোঝা গিয়েছিল যে, আইয়ার পিঠের যন্ত্রনায় ভুগছেন। দলের বাইরে থাকাকালীন তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বাইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতেও অনুপস্থিত ছিলেন।

তবে তিনি মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে জানান বিষয়টি। যদিও বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন্ডিয়ার  (বিসিসিআই) মেডিক্যাল স্টাফদের কাছে তিনি দলে নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত ছিলেন। রঞ্জি ট্রফি মিস করার কারণে তিনি কলকাতার প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রিয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন।

আর এর কিছুদিন আগেই বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ সর্তক করেছিলেন, কেউ যেন ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে আইপিএলকে বেশি  গুরুত্ব না দেয়। তবে শ্রেয়াসের যত দুর্ভাগ্য, নূ্ন্যতম শর্ত পূরণের পরেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। আর কয়েক সপ্তাহ পরেই, আইয়ার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে দুইদিন তাঁর পিঠের ব্যথার কারনে অনুপস্থিত ছিলেন।

আইপিএলের শিরোপা জিতেছেন। আর তারই প্রস্তুতি নিয়ে আইয়ার বলেন, ‘লাল বলের ফরম্যাট থেকে সাদা বলের ফরম্যাটে আসা, ব্যাটার কিংবা বোলার উভয়ের জন্য সত্যিই কঠিন। তবে যখন আপনি অভ্যস্ত হয়ে গেলে, অন্যান্য খেলোয়াড়দের সাথে আপনি এগিয়ে যাবেন।’

সকল বাঁধা স্বত্বেও শ্রেয়াস আইয়ার এগিয়ে চলেছেন। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দিয়ে নিয়ে গিয়েছেন ফাইনালের মঞ্চে। এবারের বিশ্বকাপ না হয়ে টেলিভিশন সেটের সামনে বসেই দেখবেন তিনি। তবে খুব শীঘ্রই আবারও দেশের জার্সিতে মাঠ মাতাবেন ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটার, এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর ভক্তদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link