বছর খানেক বাদে টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মাঝে একটা বিশ্বকাপও কেটে গেছে। তবুও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনি ছিলেন না। এবার এক প্রকার বাধ্য হয়েই যেন তাকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কেননা দলের একমাত্র নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দিয়েছেন।
ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে মিরাজ অবশ্য খুব বেশি প্রাধান্য কখনোই পাননি। ২০১৭ সালে অভিষেক ঘটলেও এখন অবধি মোটে ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ডান-হাতি এই অলরাউন্ডার। ২৪৮ রানের বিপরীতে ১৩টি উইকেট নিজের করে নিতে পেরেছেন মিরাজ। বেশ সাদামাটা পরিসংখ্যান।
তাছাড়া মিরাজের ব্যাটিং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বিবেচনায় খুব একটা কার্যকর নয়। এসব কারণেই মূলত মিরাজ ছিলেন ব্রাত্য। তবে এ দফা উপায়ন্তর নেই খুব একটা। দলে একজন অলরাউন্ডার অন্তত প্রয়োজন। স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারদের মধ্যে পরীক্ষিত সেনানী হিসেবে রয়েছেন কেবল মিরাজ।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে মিরাজ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ঘরনার ব্যাটিং করতে। যার প্রতিফলন দেখা গেছে ২০২৪ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। ফরচুন বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করতে ব্যাটে-বলে অবদান রেখেছিলেন মিরাজ। দারুণ দক্ষতার সাথে নিজের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।
বিপিএলে ১৫ খানা ম্যাচ খেলে ২১১ রান ও ১১টি উইকেট যুক্ত করেছেন নিজের নামের পাশে। বিপিএলের এক মৌসুমে তার পরিসংখ্যান, গোটা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যান থেকে বেশ ভাল। সেদিকটাও বিবেচনা করা হয়েছে মিরাজকে পুনরায় আরও একটি সুযোগ দিতে।
মেকশিফট রোলেও কার্যকর ইনিংস খেলতে পারদর্শী। বোলিংয়ে উন্নতি করা প্রয়োজন স্রেফ। সাথে ব্যাটিংটাও মারকাটারি ধাঁচের হওয়া প্রয়োজন। নতুবা আবারও ছিটকে যেতে পারেন মিরাজ। তখন অবশ্য তার যেমন ক্ষতি সাধিত হবে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশও পড়ে যাবে বিপাকে।