পরাজয়ের ঘেরাটোপে আটক পাকিস্তান
পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের পুরনো ছন্দ খুঁজে পেলেন ফিন অ্যালেন; সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস।
সাম্প্রতিক সময়টা ভাল যাচ্ছিল না ফিন অ্যালেনের। কখনো আউট হয়েছেন শুরুতেই, কখনো সেট হয়ে বড় রান করতে পারেননি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের পুরনো ছন্দ খুঁজে পেলেন তিনি; সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস, আর এই ইনিংসে ভর করে জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
আগে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার অ্যালেন আর ডেভন কনওয়ে। বিশেষ করে তরুণ এই ওপেনার শুরু থেকেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছিলেন, মাত্র পাঁচ ওভারেই কিউইদের বোর্ডে জমা হয়েছিল ৫৯ রান। কনওয়েকে ফিরিয়ে আমির জামাল ব্রেক থ্রু এনে দিলেও থামানো যায়নি ডানহাতি ফিন অ্যালেনকে, তাঁর তান্ডবে নয় ওভারেই দলীয় শতক পূর্ণ হয়।
অবশেষে ৪১ বলে ৭৪ রান করে থামেন তিনি। এরপর অবশ্য আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। তবে তাঁদের ছোট ছোট অবদানে এগিয়েছে স্কোর। কেন উইলিয়ামসন ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়ার আগে করেছেন ২৬ রান; আর ড্যারেল মিশেলে ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান। শেষদিকে মিচেল স্যান্টনারও খেলেছেন কার্যকরী ক্যামিও, তাঁর ১৩ বলে ২৫ রানের ইনিংসে ভর করে ১৯৪ রান করতে সক্ষম হয় ব্ল্যাকক্যাপসরা।
জবাবে পাকিস্তানকে প্রথম ওভারেই বিপদের মুখে ঠেলে দেন টিম সাউদি, তুলে নেন সায়িম আইয়ুবের উইকেট। পরের ওভারে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে আউট করে সফরকারীদের পুরোপুরি কোণঠাসা করে ফেলেন অ্যাডাম মিলনে। সেখান থেকে বাবর আজম আর ফখর জামানের কল্যাণে ঘুরে দাঁড়াতে হয় সক্ষম হয় দলটি।
তাঁদের সময়োপযোগী ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে পাকিস্তানের হাতে। কিন্তু ২৫ বলে ৫০ রান করা ফখর প্যাভিলিয়নে ফিরলে ব্যাটিং ধ্বস নামে। ইফতেখার আহমেদ আর আজম খান দু’জনেই সাজঘরের পথ ধরেন বলার মত কিছু করার আগেই।
বাবর অবশ্য একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন অনেকটা সময়; ৩৬ বলে ক্যারিয়ারের ৩২তম হাফসেঞ্চুরি পেয়ে যান তিনি। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতায় জয়ের বন্দরে তরী ভেড়াতে পারেননি এই ব্যাটার; ৬৬ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।
বাবরের পর অধিনায়ক শাহীন শাহ চেষ্টা করেছেন অসম্ভবকে সম্ভব করার। কিন্তু বৃথা গিয়েছে তাঁর ১৩ বলে ২২ রান – দশ উইকেট হারিয়ে শেষমেশ এশিয়ার প্রতিনিধিরা থেমেছে ১৭৩ রানে। ফলত ২১ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।