অফ দ্য মার্ক উইদ আ ব্লাস্ট

ভারতের ক্রিকেটে ইতিহাসে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ওপেনারদের একজন বীরেন্দ্র শেবাগ। বলটার জন্ম হয়েছে যে পেটানোর জন্য, তার সবচেয়ে আদর্শ উদাহরণদের একজন তিনি। যতদিন ভারতের হয়ে খেলেছেন নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিংটাই করেছেন। ম্যাচের পরিস্থিতি যাইহোক শেবাগ সবসময় বড় শট খেলতেই পছন্দ করতেন। এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেই ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতের হয়ে করেছেন ৮২৭৩ রান।

ভারতের ক্রিকেটে ইতিহাসে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ওপেনারদের একজন বীরেন্দ্র শেবাগ। বলটার জন্ম হয়েছে যে পেটানোর জন্য, তার সবচেয়ে আদর্শ উদাহরণদের একজন তিনি। যতদিন ভারতের হয়ে খেলেছেন নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিংটাই করেছেন। ম্যাচের পরিস্থিতি যাইহোক শেবাগ সবসময় বড় শট খেলতেই পছন্দ করতেন। এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেই ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতের হয়ে করেছেন ৮২৭৩ রান।

২০১১ বিশ্বকাপেও ভারতকে দারুণ সব শুরু এনে দিয়েছিলেন এই ওপেনার। তাঁর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করতে পারতো ভারত। সেই বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচেই শেবাগ ইনিংস শুরু করেছিলেন বাউন্ডারি দিয়ে। ২০১১ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ গুলোকেই এক করেছে খেলা ৭১।

  • বাংলাদেশের বিপক্ষে

২০১১ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ভারত তাঁদের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের সাথে। সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামে ভারত। ম্যাচের প্রথম বলেই বাউন্ডারি দিয়ে ইনিংস শুরু করেন শেবাগ। মিরপুরে সেই ম্যাচে বিশাল এক ইনিংস খেলেছিলেন শেবাগ।

তাঁর সেই ইনিংসে ভর করে ভারতও গড়েছিল পাহাড়সম রান। বীরেন্দ্র শেবাগ একাই খেলেছিলেন ১৪০ বলে ১৭৫ রানের বিশাল এক ইনিংস। শেবাগ তাঁর ইনিংস শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের পেসার শফিউল ইসলামকে চার মেরে। ওই ম্যাচে মোট ১৪ টি চার ও ৫ টি ছয় মেরেছিলেন শেবাগ।

  • ইংল্যান্ডের বিপক্ষে

২০১১ বিশ্বকাপের ১১তম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাটিতে মুখোমুখি হয় ভারত। সেই ম্যাচটি অবশ্য টাই হয়েছিল। দুই দলই স্কোর বোর্ডে জমা করেছিল ৩৩৮ রান। তবে সেই ম্যাচে ভারতের হয়ে ওপেন করেছিলেন বীরেন্দ্র শেবাগ ও শচীন টেন্ডুলকার।

সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম ওভার করেছিলেন জেমস এন্ডারসন। এন্ডারসনের বলটি শেবাগের ব্যাটের কানায় লেগে চার হয়ে যায়। সেই ম্যাচে অবশ্য ৩৫ রানেই থেমেছিল এই ওপেনারের ইনিংস।

  • আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে

গ্রুপ পর্বের আরেক ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে ভারত। সেই ম্যাচেও যথারীতি ভারতের হয়ে ওপেন করতে নামেন বীরেন্দ্র শেবাগ এবং সেই ম্যাচেও নিজের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন শেবাগ।

আয়ারল্যান্ডের দেয়া ২০৮ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নামে ভারত।ভারত সহজের জয় পায়। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি শেবাগ। ফিরে গিয়েছলেন ৫ রান করেই।

  • নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে

২০১১ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের আরেক ম্যাচে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ভারত। সেই ম্যাচেও সহজ জয়ই পেয়েছিল দলটি। আর সেই ম্যাচেও ভারতকে দারুণ শুরু এনে দেন শেবাগ। ইনিংসের প্রথম বলেই মারেন বাউন্ডারি।

মুদাসসার বুখারিকে বাউন্ডারি মেরে নিজের ইনিংস শুরু করেছিলেন এই ওপেনার। সেই ম্যাচে মাত্র ২৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শেবাগ।

  • দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে

বিশ্বকাপে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। বাইশ গজে যেন এক থ্রিলার সিনেমার দেখা মিলেছিল। শেষ পর্যন্ত ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। শচীন টেন্ডুলকার সেই ম্যাচে দারুণ একটি সেঞ্চুরিও মেরেছিলেন।

ওদিকে ব্যাট করতে নেমে নিজের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরেছিলেন শেবাগ। তাও আবার দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেল স্টেইনকে। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেই ম্যাচে আর জয় তুলে নিতে পারেনি ভারত।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...