শরিফুলের ব্যাটেই যতটুকু আনন্দ

দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন সকালটায় ঠায় হয়ে দাড়িয়েছিলেন তামিম ইকবাল। শুরু থেকেই যেভাবে খেলছিলেন মনে হচ্ছিল বড় কিছুই করবেন। তবে তামিমের ইনিংস খুব বেশি বড় হয়নি। ফিরেছিলেন ৪৬ রান করেই। তবুও তামিমের এই ইনিংসেই শুরুর কঠিন সময়টা পার করা গেছে। নাহলে হয়তো আজও একশো রানের নিচেই গুটিয়ে যেতে হতো।

ম্যাচ শুরুর আগেই আতাহার আলী খান তাঁর ফেসবুক পেজে উইকেটের একটি ছবি আপলোড করেছিলেন। ঘাসের সেই উইকেট দেখে বাংলাদেশের ভক্তরা ভয়ই পেয়েছিলেন। আজ না আবার প্রথম সেশনেই অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। এর উপর টস জিতে বাংলাদেশকেই ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দিনের শুরুতে সেই ধাক্কাটা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে সাকিব, সোহানরা পরের কাজটা করতে পারেননি।

দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন সকালটায় ঠায় হয়ে দাড়িয়েছিলেন তামিম ইকবাল। শুরু থেকেই যেভাবে খেলছিলেন মনে হচ্ছিল বড় কিছুই করবেন। তবে তামিমের ইনিংস খুব বেশি বড় হয়নি। ফিরেছিলেন ৪৬ রান করেই। তবুও তামিমের এই ইনিংসেই শুরুর কঠিন সময়টা পার করা গেছে। নাহলে হয়তো আজও একশো রানের নিচেই গুটিয়ে যেতে হতো।

তবে এরপর আবার চেনা রূপ। নাজমুল হোসেন শান্ত রান করবেন না এটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, আজও করেননি। ওদিকে ৩২ টেস্ট পর মুমিনুল হককে ছাড়া খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। তাঁর জায়গায় আজ মাঠে নেমেছিলেন আট বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা এনামুল হক বিজয়। তবে এতেও খুব বেশি লাভ হয়নি। তিনিও ফিরেছেন মাত্র ২৩ রান করেই।

ব্যাটিং লাইন আপের প্রথম চারজন না পারলেও এই উইকেটের পুরো ব্যবহার করতে পেরেছেন লিটন দাস। টেস্ট ক্রিকেটে লিটন তাঁর অবিশ্বাস্য ফর্ম ধরে রেখেছেন। তবে সাকিব, সোহান কিংবা মিরাজ কেউই লিটঙ্কে সঙ্গ দিতে পারেননি। ফলে আবারো বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।

একপ্রান্ত থেকে লিটন তবুও চেষ্টা করে গিয়েছেন। ইনিংসে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে করেছেন অর্ধশতক। এছাড়া এবছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক হাজার রানও পূরণ করে ফেলেছেন লিটন দাস। শেষ পর্যন্ত লিটন ৫৩ রানে থামলে দুইশোর আগেই অল আউট হবার শঙ্কা জাগে।

আর শঙ্কা কাটিয়ে উঠেছেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন। বাংলাদেশের ইনিংসের শেষের দিকে এই দুজনের ব্যাটিং রাত জাগা দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। বিশেষ করে শরিফুল ইসলাম তো বাউন্ডারির পসরা খুলে বসেছিলেন। শরিফুল মাত্র ১৭ বল খেলেই করেছেন ২৬ রান। ব্যাটিং করেছেন ১৫২.৯৪ স্ট্রাইকরেটে। এছাড়া দারুণ ব্যাটিং করেছেন এবাদতও। ৩৫ বল থেকে তিনি করেন ২১ রান। এই দুজনের ব্যাটে ভর করেই ২৩৪ রানে করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

তবে বল করতে নেমে উইকেটের সুবিদশা তুলতে পারেননি বাংলাদেশের পেসাররা। সবাই বেশ খরুচে বোলিং করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার শেষ বেলায় ওভার প্রতি চারের বেশি করে রান করেছেন। ৬৭ রান করে কোন উইকেট না হারিয়েই দিন শেষ করছে ক্যারিবীয়রা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...