রেকর্ড গড়া সূচনা ওমানের

পাপুয়া নিউগিনিকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধান হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করেছে ওমান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বারের মত কোনো দল ১০ উইকেটের ব্যবধানে জিতল। আর সহযোগী দেশের ক্ষেত্রে এটাই প্রথম ১০ উইকেটের জয়ের নজীর।

পাপুয়া নিউগিনিকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধান হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করেছে ওমান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বারের মত কোনো দল ১০ উইকেটের ব্যবধানে জিতল। আর সহযোগী দেশের ক্ষেত্রে এটাই প্রথম ১০ উইকেটের জয়ের নজীর।

কোয়ালিফায়ার রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে পাত্তায় পায়নি প্রথম বারের মত বিশ্বকাপ খেলতে আসা পাপুয়া নিউগিনি। ম্যাচ জয়ী হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন দুই ওপেনার যতিন্দর সিং ও আকিব ইলিয়াস।

১৩০ রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় ওমান। তবে দুই ওপেনারই একবার করে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। ইনিংসের নবম ওভারে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান যতিন্দর এবং দশম ওভারে লং অনে আকিবের ক্যাচ ফেলে দেন নোসাইনা পোকানা। জীবন ফিরে পেয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন দু’জন।

৪৩ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন আকিব এবং ৪২ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন যতিন্দর। আকিবের ইনিংসে একটি ছয়ের সাথে ছিল পাঁচটি চার এবং যতিন্দরের ইনিংসে চারটি ছয়ের সাথে ছিল সাতটি চার।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা পাপুয়া নিউগিনির শুরুটাই ভালো হয়নি। শূন্য রানেই ফিরে যান দুই ওপেনার টনি উরা এবং লেগা সিয়াকা। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে বিলাল খানের প্রথম শিকার হয়ে উরা ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফিরে যান সিয়াকা। শূন্য রানে দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনি।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে দু’জন যোগ করেন ৬০ বলে ৮১ রান। ২৬ বলে ৩৭ রান করা আমিনি রান আউটের ফাঁড়ে পড়ে ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। সঙ্গী হারিয়ে উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি আসাদও। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ফিরে যান তিনিও। ৪৩ বলে ৫৬ রান করে আসাদ ফিরে যাওয়ার পরই পথ হারায় পাপুয়া নিউগিনির ইনিংস।

ওমানের অধিনায়ক জিশান মাকসুদের বোলিং তোপে ১০২ রানে ২ উইকেট থেকে চোখের পলকে ১১৮ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাপুয়া নিউগিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়েই ১২৯ রান সংগ্রহ করে তাঁরা। ওমানের বোলারদের ভিতর মাকসুদ চারটি এবং বিলাল খান ও কলিমুল্লাহ দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাপুয়া নিউগিনি: ১২৯/৯ (ওভার: ২০; উরা- ০, সিয়াকা- ০, আসাদ- ৫৬, আমিনি- ৩৭, বাউ- ১৩, ভানুয়া- ১, আটাই- ৩, দোরিগা- ০, রাভু- ১, মোরিয়া- ৬*, পোকানা- ৫*) (মাকসুদ- ৪-০-২০-৪, বিলাল- ৪-১-১৬-২, কলিমুল্লাহ- ৩-০-১৯-২)

ওমান: ১৩১/০ (ওভার: ১৩.৪; আকিব- ৫০*, যতিন্দর- ৭৩*) (পোকানা- ২-০-১৫-০)

ফলাফল: ওমান ১০ উইকেটে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...