আবারও স্টোয়িনিসের ব্যাটেই অস্ট্রেলিয়ার জয়

স্কটল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগেই ছিল বেশ আলোচনায়। অস্ট্রেলিয়ান বোলার জস হ্যাজলউড এর এক মন্তব্যে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিরিট অফ ক্রিকেট নিয়ে। তাই পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ না হলেও নিজেদের মান বাঁচাতে ম্যাচটি জিততে হতো অস্ট্রেলিয়ানদের।

তবে নিজেদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে শুরুটা দারুণ করে স্কটল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ১৮১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। জবাবে ৬০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তখনই ক্রিজে আসেন মার্কাস স্টোয়িনিস। প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাকিয়ে নিজের অবস্থানের জানান দেন তিনি।

অন্য প্রান্তে ট্রাভিস হেড দাঁড়িয়ে থাকলেও রান বাড়ানোর গতির কাজটি করেন স্টোয়িনিস। দুই এক ওভার পর পর বাউন্ডারি হাকিয়ে রানের গতি সচল রাখেন তিনি। তবে স্কটিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান পেতে কিছুটা বেগ পেতে হয় তাঁদের।


তবে ১৪তম ওভারে স্কটিশ বোলার মাইকেল লেস্কের উপর চড়াও হন স্টোয়িনিস। ওভারের শেষ তিন বলে দুটি ছক্কা ও একটি চার হাকিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরে দেন তিনি। পরের ওভারেও তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং চালাতে থাকেন স্টোয়িনিস। বোলার ক্রিস্টোফারের দুই বলে দুইটি বাউন্ডারি হাকান তিনি।

স্টোয়িনিস এর ব্যাটে রিকোয়ার রান রেটের হার কমতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার। ১৬তম ওভারে হেড তিন ছক্কা হাকিয়ে সাজঘরে ফেরত গেলেও ব্যাট চালানো থামান না তিনি। সেই ওভারেরই শেষ বলে বাউন্ডারির হাকিয়ে মাত্র ২৫ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন স্টোয়িনিস।


পরের ওভারে দুই বলে দুইটি বাউন্ডারি হাকিয়ে অবশেষে আউট হন স্টোয়িনিস। তবে যাবার আগে ২৯ বলে ৫৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন তিনি। যেই ইনিংসে ৯টি চার ও ২টি ছক্কার মার ছিল। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচেও ৩৬ বলে ৬৭ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন স্টোয়িনিস।

স্টোয়িনিস এর ইনিংসের পর বাকি কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায় পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের জন্য। উইকেটরক্ষক ব্যাটার ম্যাথু ওয়েডকে নিয়ে বাকি কাজটা সেরে ফেলেন টীম ডেভিড। ফলে চার ম্যাচে চার জয় নিয়েই পরবর্তী রাউন্ডে যায় অস্ট্রেলিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link