সময়ের হিসেবে তা ১৪ বছর! বোঝাই যাচ্ছে বাবর আজমের সাথে সৌরভ নেত্রভালকারের সম্পর্ক বেশ অনেকদিনের। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪ বছর আগের পরাজয়ের ক্ষতই যেন সারলেন সৌরভ নেত্রভালকার।
ফিরে যাওয়া যাক আজ থেকে ১৪ বছর আগে, ২০১০ সালে। চলছে অনুর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপ, কোয়ালিফায়ারে পাকিস্তানের মুখোমুখি ভারত। সেখানে ভারতের তরুণ বোলার হিসেবে দেখা যায় সৌরভ নেত্রভালকারকে। ৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ মেইডেনসহ শিকার করেছিলেন ১ টি উইকেট। রানের খরচেও ছিলেন মিতব্যয়ী। সেসময় অবশ্য ভারতের হয়ে পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয় নেত্রভালকারকে।
অবাক করা বিষয়, ২০১০ সালের অনুর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপের ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে পাকিস্তানের দলে ছিলেন বাবর আজম। যদিও সেই ম্যাচে তাঁকে তেমন সুবিধা করতে দেখা যায়নি। তবে ২০২৪ সালে আবারো নেত্রভালকারের মুখোমুখী হন তিনি। এবার অবশ্য পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে দেখা যায় তাঁকে।
১৪ বছর পর ২০২৪ সালে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে আবারো সেই পাকিস্তানের মুখোমুখী নেত্রভালকার। প্রতিপক্ষ একই হলেও বদলে গিয়েছে তাঁর দল। এবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ের মাধ্যমে ১৪ বছরের পরাজয়ের ক্ষতই যেন শুকাতে চাইলেন বাঁ হাতি এই বোলার। সুপার ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ১৮ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। কেননা সেখানে প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়ান নেত্রভালকার। সেই সুপার ওভারে তিনি খরচ করেন মাত্র ৯ রান। সেই সুপার ওভারেও একটি উইকেট পান এই বাঁ হাতি বোলার।
১৪ বছর আগে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেও , এবার পরাজয়ের লজ্জা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাবরদের। আর সেই পরাজয়ের আগুনে ঢালা ঘিয়ের কাজটাই করলেন সৌরভ নেত্রভালকার।
অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে বাবর-নেত্রভালকারের এই নীরব দ্বন্দ্ব চলছে বেশ অনেকদিন ধরেই। সময়ের সাথে অভিজ্ঞতার ঝুলিও ভারী হয়েছে উভয়েরই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এমন অপ্রত্যাশিত পরাজয়ে আগামীতে বেশ বেগ পেতে হবে পাকিস্তানকে। কেননা বাবরদের সেই প্রতিকূল পরিস্থিতির মূল চাবিটা যে নেত্রভালকারই ঘুরিয়েছেন।