আর্লিং হাল্যান্ড একাই বিধ্বস্ত করে দিতে পারে গোটা দলকে। সে প্রমাণ তিনি রেখেছেন ইপ্সউইচ টাউনের বিপক্ষে। গুণে গুণে তিন খানা গোল করেছেন এই স্ট্রাইকার। তার হ্যাট্রিকের কল্যাণে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, শেষ পাঁচ দেখায় তিন ম্যাচে জয় পেয়েছিল ইপ্সউইচ টাউন।
প্রিমিয়ার লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। ভয়ংকর দলটির বিপক্ষে সদ্যই প্রিমিয়ার লিগে উন্নিত হওয়া ইপ্সউইচ বড্ড অসহায়। প্রথমে গোল করেও শেষ অবধি বিপর্যস্ত হতে হয়েছে দলটিকে। কিন্তু একটা সময়ে এই দুই দলের লড়াই জমত বেশ। একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো এই দুই দলের মাঝে।
তবে সেসব প্রায় দুই দশক আগের কথা। তখন ম্যানচেস্টার প্রিমিয়ার লিগের নিয়মিত মুখ ছিল না। লিগ ওয়ানের ডিভিশন ওয়ানে সিটি রীতিমত পাত্তা পেত না ইপ্সউইচের কাছে। এমনকি শেষ দশ দেখায় স্রেফ তিনটি ম্যাচই জিততে পেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
এই দুই দলের এর আগে শেষ দেখা হয়েছিল এফ এ কাপের মঞ্চে। ২০০২ সালের সে ম্যাচটি ম্যানচেস্টার জিতেছিল ৪-১ ব্যবধানে। তবে এর আগে ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ইপ্সউইচ সাতটি ম্যাচ জিতেছে। জবাবে ১৯৯৯ সালে একটি ম্যাচের ফলাফল সিটির পক্ষে এসেছিল। একটি মাত্রই গোলই জয়ের ফারাকটা গড়ে দিয়েছিল।
সময়ের পালাক্রমে ম্যানচেস্টার সিটি আজ বদলে গেছে। তারা এখন ইউরোপীয়ান ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের অন্যতম দাবিদার তারা। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় প্রতিটা প্রিমিয়ার লিগ জয়ের জন্যেই মাঠে নামে সিটি। এমনকি টানা চারটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতেছে দলটি।
অথচ ইপ্সউইচ যেন যেখানে ছিল সেখানেই রয়ে গেছে। ২০০১ সালের পর এই প্রথমবারের মত প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্লাবটি। দীর্ঘ এই সময় জুড়ে তারা লড়াই চালিয়েছে নিজেদের স্বকীয়তা ধরে রাখার। তারা লড়াই করে গেছে প্রিমিয়ার লিগে সুযোগ পেতে।
অবশেষে এসেছে সুযোগ। কিন্তু শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি তাদের। প্রথম দুই ম্যাচের দু’টিই হেরেছে ক্লাবটি। আবারও সেই অবনমনের তালিকায় রয়েছে ইপ্সউইচ। নিশ্চয়ই তারা আবার চলে যেতে চাইবে না লোকচক্ষুর আড়ালে। সে জন্যে অবশ্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে ক্লাবটিকে।