পেস নির্ভর দেশ অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ভারতীয় ব্যাটাররা সবচেয়ে ভুগেছেন দক্ষিণ আফ্রিকাতে। আর এর মূল কারণ অতিরিক্ত বাউন্স এবং সিম মুভমেন্ট; যেকোনো জায়গায় তুলনায় এখানকার পিচের কন্ডিশনও বেশি অননুমেয়।
দেশটির সাবেক তারকা ফাফ ডু প্লেসিসের কথাতেও উঠে এসেছে এসব। তিনি বলেন, ‘এখানে প্রায় এক হাত পরিমাণ এক্সট্রা বাউন্স হয়। কিন্তু ভারতে এমনটা হয় না। তাই হাই লিফটের সাথে অভ্যস্ততা না থাকায় তাঁরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।’
অবশ্য টোটকাও বাতিয়ে দিয়েছেন এই ব্যাটার, তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাটিং ভাল করার চাবি কাঠি হচ্ছে বল ছাড়া শিখতে হবে; ভাল বল ছাড়তে পারলে আর যত বেশি সম্ভব ক্রিজে থাকতে পারলে বড় রান করা যাবে।’
সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগে অবশ্য কোহলিদের মাথা ব্যাথার কারণ বলের মুভমেন্ট আর বাড়তি গতি। ডু প্লেসিস বলেন, প্রথমদিন সাধারণত ঘাস থাকায় বল একটু ধীর গতিতে সুইং করে কিন্তু তৃতীয় বা চতুর্থ দিন থেকে বল স্কিড শুরু করে। এছাড়া পিচে ক্র্যাক বেড়ে যায়, ফলে অসম বাউন্স আদায় করতে পারে বোলাররা।’
এই ডানহাতির কথাতেই স্পষ্ট, প্রথমদিকে ব্যাটিং বান্ধব থাকবে উইকেট। অর্থাৎ টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে যদি ভাল করা যায় তাহলে জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।
আর, সেজন্য ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে সফরকারী ব্যাটারদের। একদম শেষমুহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে শট খেলতে হবে, ঠিক যেমনটা দেখা যায় ডিন এলগারের মাঝে।