বিজয়ের ব্যাটে ‘অরা ফার্মিং’ মুড!

সিলেটের মেঘাচ্ছন্ন আকাশে চার-ছক্কার বৃষ্টি নামল এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে। ফিফটি তুলে দলকে জেতালেন, 'অরা ফার্মিং' স্টাইলে নাচলেন। চোখে-মুখে বাঁধ ভাঙা উল্লাস। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিজয় অপ্রতিরোধ্য, তা যেন আবারও প্রমাণ হলো।

সিলেটের মেঘাচ্ছন্ন আকাশে চার-ছক্কার বৃষ্টি নামল এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে। ফিফটি তুলে দলকে জেতালেন, ‘অরা ফার্মিং’ স্টাইলে নাচলেন। চোখে-মুখে বাঁধ ভাঙা উল্লাস। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিজয় অপ্রতিরোধ্য, তা যেন আবারও প্রমাণ হলো।

ঘরোয়া আসর মানেই বিজয়ের ব্যাটে রানের ফুলঝুরি। ফরম্যাট যাই হোক, রান তিনি করবেনই। এনসিএলেও দেখাচ্ছেন সেই ঝলক।

এদিন বরিশালের দেওয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা কাঁধে নিয়ে ইনিংসের গড়াপত্তন করতে নামলেন বিজয়। মাঠের চারপাশেই নিজের উপস্থিতি জানান দিলেন। এবারের আসরে প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন।

শেষ পর্যন্ত তাঁর ব্যাট থেকে এলো ৪৭ বলে ৭২ রানের অপরাজিত এক নক। ছয় চার এবং তিন ছক্কায় হাঁকানো ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৩.১৯।একপ্রান্তে তাঁর অবিচল ব্যাটিংয়ে ভর করে দলও পেল আট উইকেটের জয়। বিজয়ও উদযাপন করলেন একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। মাঠ মাতালেন নৃত্য পরিবেশন করে।

এর আগে, ব্যাট করতে নেমে বরিশাল তোলে সাত উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৭ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে ইফতিখার রহমান ইফতির ব্যাট থেকে, খেলেন ৩২ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। তবে বিজয়ের ব্যাটে সহজ পায় খুলনা বিভাগ।

এবারের এনসিএলে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে ৫২.৬৭ গড়ে বিজয়ের রান ১৫৮। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন তিন নম্বরে। দলের দুই জয় এসেছে তাঁর ব্যাটে ভর করে।

ডোমেস্টিক টুর্নামেন্টে বিজয় যেন রূপকথার ফিনিক্স পাখি। অথচ জাতীয় দলের চৌকাঠ মাড়ালেই যেন নিজেকে মেলে ধরতে পারেন না। তবুও হয়তো বিজয়ের আক্ষেপ নেই, ঘরোয়া ক্রিকেটকেই যে তিনি বানিয়েছেন নিজেকে চেনানোর আদর্শ মঞ্চ।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link