বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে আর মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওটিস গিবসন। ৫২ বছর বয়সী এই কোচ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন। দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর অনিচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। আসন্ন ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) মুলতান সুলতানসের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, ‘ওটিস ওর চুক্তি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত লোকাল কোচেরা দায়িত্ব পালন করবে সাময়িক সময়ের জন্য। আশা করছি আমরা গিবসনের স্থলে দ্রুত কোনো বিদেশী কোচ আনতে পারবো।’
চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্টের জায়গায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পেস বোলিং কোচ হিসেবে বিসিবির সাথে চুক্তিবদ্ধ হন ওটিস। কিছুর সময় কাজ করার পর করোনার হানায় পরবর্তীতে ভার্চুয়ালি বোলারদের সাথে কাজ করেন তিনি। গিবসনের বাংলাদেশে কাজ করা দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে সেরা সিরিজ সবশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই! কারণ ওই সিরিজে মাউন্ট মঙ্গানুইতে পেসাররা শিকার করেন ১৩ উইকেট! এর মধ্যে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নেন এবাদত হোসেন। এবাদতের এই উন্নতি গিবসনের হাত ধরেই।
জালাল ইউনুস জানিয়েছেন গিবসনের জায়গায় কে আসবে সে নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছে বিসিবি। বেশ কয়েকজনের নামের সংক্ষিপ্ত তালিকাও বানিয়েছেন বলে জানান বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান। ২০০৯ সাল চাম্পাকা রামানায়েকে থেকে পরবর্তীতে গিবসনের আগ পর্যন্ত শেন জার্গেনসন, হিথ স্ট্রিক, কোর্টনি ওয়ালশ, ল্যাঙ্গাভেল্টরা বাংলাদেশের সাথে কাজ করেছেন পেস বোলিং কোচ হিসেবে।
হোম কন্ডিশন ও দেশের বাইরে পেসারদের আরো উন্নতির ব্যাপারে বেশ কিছু সময় ধরেই আলোচনা করছে বিসিবি। সবশেষ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এবাদতের শিকার করা ফাইফর ছিলো ৯ বছর পর বাংলাদেশী কোনো পেসারের প্রথম ফাইফর! পেস অ্যাটাকে লম্বা সময় ধরেই পিছিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। তবে গেলো ২ বছরে পেসারদের উন্নতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সাথে যুক্ত হতেই হয়তো গিবসনের এমন সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ ছিলেন এই ক্যারিবিয়ান পেসার। ২০১২ সালে তার অধীনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ইংল্যান্ডের দায়িত্ব ছেড়ে গিবসন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ ছিলেন ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।