পাকিস্তানের ম্যাচ জয়েও হৃদয় জিতলেন মুজিব

এরপরও অবশ্য আফগান বাহিনী থেমেছে ২০৯ রানে; হারতে হয়েছে ৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে।

শ্বাসরুদ্ধকর মুহুর্ত আর টান টান উত্তেজনাময় একটা ম্যাচ দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব; আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষপর্যন্ত পুলকিত করেছিল দর্শকদের। তবে দিন দুয়েক ঘুরতেই পাল্টে গিয়েছে দৃশ্যপট; আবারো বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিয়েছে বাবর আজমের দল। যদিও নিয়ম রক্ষার ম্যাচে ফলাফল ছাপিয়ে লাইমলাইটে এসেছে মুজিবুর রহমানের ব্যাটার হয়ে ওঠা।

পাকিস্তানের দেয়া ২৬৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানিস্তান; ধ্বংসাবশেষে দাড়িয়ে অবশ্য লড়াই চালিয়ে যান মুজিবুর রহমান। মাত্র ২৬ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি; তর সেটিই আফগানিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম।

এরপরও অবশ্য আফগান বাহিনী থেমেছে ২০৯ রানে; হারতে হয়েছে ৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। এশিয়া কাপের আগে স্পিন নির্ভর প্রতিপক্ষের এমন দাপুটে সিরিজ জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিবে পাকিস্তানকে।

আগের ম্যাচেই আগে ব্যাট করতে স্রেফ ওপেনিং জুটির কল্যাণে দুইশ রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছিল আফগানিস্তান। এই ম্যাচে তাঁদের সেই সুযোগ না দিতেই হয়তো স্লো পিচে শুরুতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাবর আজম। প্রথম দিকে দুই ওপেনার ফখর জামান এবং ইমাম উল হক দেখে শুনে খেললেও পাওয়ার প্লের শেষদিকে চিত্রপট বদলে যায়।

একাদশে ফেরা গুলবাদিন নাইব আক্রমণে এসেই আউট করেন ফখরকে; কয়েক ওভার পরে আরেক ওপেনারকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান; ১১০ রানের বড় জুটি গড়ে সেই চাপ সামাল দেন বাবর এবং রিজওয়ান। তবে রশিদ, মুজিবদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে এই দুজন সাবলীল গতিতে রান তুলতে পারেনি; ১১০ রান তুলতে লেগেছে ২৪ ওভার।

৩৬.৫ ওভারে বাবর আজমকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন রশিদ খান। এরপরই ধ্বস নামে ব্যাটিং লাইনআপে, ফলে স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাঁদের। শেষদিকে আগা সালমানের ৩৮ আর নওয়াজের ৩০ রানে ভর করে ২৬৮ রান করতে সমর্থ হয় পাকিস্তান।

মাঝারি মানের এই রানই পাহাড়সম হয়ে উঠে আফগানিস্তানের জন্য। আগের ম্যাচে রানের ফুলঝুরি ছুটানো আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এদিন ফিরে যান পাঁচ রানের মাথায়; তিনে নামা ইব্রাহিম জাদরান তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি – দুজনকেই আউট করেছেন ফাহিম আশরাফ।

রিয়াজ হাসানকে নিয়ে অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদী প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও সেটা বেশিক্ষণ টেকেনি। রিয়াজকে ফখরের ক্যাচ বানানোর পর শহিদীকেও ঝুলিতে পুরেন শাদাব খান। এরপর গুলবাদিন নাইব আউট হলে জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায় আফগানদের।

ফলে শেষের দিকে ব্যাটসম্যানরা পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া কিছুই করার ছিল না। সেই কাজটাই দারুণভাবে করেছেন স্পিনার মুজিবুর রহমান। নয় নম্বরে নেমে তান্ডব চালিয়েছেন পাকিস্তানি বোলারদের উপর; জিততে না পারলেও অন্তত প্রতিপক্ষের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন তিনি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...