ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের পর থেকে কোন কিছুই ঠিকঠাক যাচ্ছে না পাকিস্তানের। একের পর এক ব্যর্থতায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে তাঁদের; সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে এলেও সেই স্বপ্ন পূরণ এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। ফলে সমালোচনা ভেসে আসছে চারপাশ থেকে, বাবর আজমদের নিয়ে আশা ভঙ্গের গল্প শোনা হচ্ছেন ভক্ত-সমর্থেকরা।
তবে হার্শা ভোগলে যেন এক কাঠি সরেস, তিনি মজা লুটলেন দলটির এই অবস্থা নিয়ে। পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থার বর্ণনা করতে গিয়ে এই ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের সাথে থাকা মানুষদের চেয়ে হাসির আর কিছু নেই। নাজাম শেঠি যা করেছে সেটা জাকা আশরাফ পরিবর্তন করতে চায়; আবার রমিজ রাজা যা করেছিল সেটা নাজাম শেঠি পরিবর্তন করতে চেয়েছিল।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘সোমবার, বুধবার এবং শুক্রবার নাজাম শেঠি পিসিবি পরিচালনা করে। মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার, শনিবার সেই দায়িত্ব থাকে জাকা আশরাফের কাছে। আর রবিবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পরের সপ্তাহ কিভাবে চলবে (হাসি)।’
অন্যদিকে দীনেশ কার্তিক তো পাকিস্তানের র্যাংকিংয়ে নাম্বার ওয়ান হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মতে, যোগ্যতায় নয়, ভাগ্যের জোরে সবার উপরে উঠতে পেরেছে বাবর আজমের দল।
গত এপ্রিলে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব যখন বুঁদ হয়েছিল আইপিএলে, পাকিস্তান তখন মাঠে নেমেছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। কিন্তু আইপিএলে বেশ কয়েকজন তারকা ব্যস্ত থাকায় কিউইরা দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে আসে পাকিস্তানে; ফলশ্রুতিতে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিকরা।
সেসময় আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বড় লাফ দিয়ে এক নম্বরে উঠে আসে ১৯৯২ এর বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। ২০০৫ সালে র্যাংকিং সিস্টেম চালু করার পর এবার প্রথম ওয়াডে ফরম্যাটে নাম্বার ওয়ান হতে পেরেছে তাঁরা।
আর এটি নিয়ে ভারতীয় এই তারকা বলেন, ‘তাঁরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যখন খেলেছিল তখন কিউইদের মূল দলের অর্ধেক ক্রিকেটার আইপিএলে ছিল। তাই তাঁরা পূর্ণশক্তির দল না পাঠিয়ে সাদামাটা দল পাঠিয়েছিল। এভাবেই পাকিস্তান নাম্বার ওয়ান হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অথচ নিউজিল্যান্ড বি দলের বিপক্ষে জিততেও পাকিস্তানকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তাঁরা জিতেছিল ঠিকই, কিন্তু কোন ম্যাচে আধিপত্য দেখাতে পারেনি। এজন্যই বড় দলগুলোর বিপক্ষে সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাঁদের।’