সময়টা ভাল যাচ্ছে না বাবর আজমের, দলগত কিংবা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কোনকিছুতেই প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। বিশেষ করে, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের যে লক্ষ্য সেদিকে এগিয়ে যেতে ব্যর্থ হচ্ছেন অধিনায়ক বাবর। তাঁর নেতৃত্বগুণ নিয়ে তাই চারপাশে শুরু হয়েছে নানান আলোচনা।
আর সেই আলোচনায় সর্বশেষ যোগ দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। সম্প্রতি দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি একজন অধিনায়কের সুনিপুণ নেতৃত্বের গুরুত্ব এবং দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে এটির প্রভাব সম্পর্কে নিজের মতামত প্রকাশ করেন।
এই তারকা বলেন, ‘যখন আপনি মানসিকভাবে খেলার মাঝে থাকেন না, তখনি এসব (ফিল্ডিং ইস্যু) ঘটতে দেখা যায়। যখন আপনি কোথাও লুকিয়ে থাকতে চান, যখন আপনি ইতিবাচকভাবে ভাবতে ভুলে যান, তখন আমরা যেসব মিরাকল ঘটার অপেক্ষায় থাকি সেসব ঘটে না। কেবল যারা সাহসী, লড়াই করতে জানে তাঁদের সাথেই মিরাকল ঘটে।’
অধিনায়কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেখুন, ক্যাপ্টেনই সবকিছু। যদি সে মাঠে সেরাটা দেয়, ফিল্ডিংয়ের সময় ডাইভ দেয়া কিংবা সতীর্থদের উৎসাহ দেয়ার মত কাজ করে তাহলে বাকিরা স্বাভাবিকভাবেই সক্রিয় হয়ে উঠে। কেননা তাঁরা ক্যাপ্টেনকে সবটুকু উজাড় করে দিতে দেখলে নিজেরাও তাঁর মতে হতে চাইবে।’
নিজের ক্যারিয়ারের উদাহরণ দিয়ে আফ্রিদি মনে করিয়ে দেন যে, ‘আমি বা মোহাম্মদ ইউসুফ অধিনায়ক থাকাকালীন আমরা পুরো মাঠে ঘুরে বেড়াতাম, খেলোয়াড়দের সমর্থন দিতাম; তাঁরা সেসময় আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠতো। ইনজামাম ভাই ডাইভ দিলে, বিশ্বাস করুন, আমাদের লজ্জা পেতো। ভাবতাম, অধিনায়ক এত চেষ্টা করছে আমরা কেন করছি না।’
বাবর আজমকে পরামর্শ দিতেও ভোলেননি সাবেক এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা অধিনায়কের দায়িত্ব। একটা পেসার বল করছে, কিন্তু স্লিপ নেই? চার বলে ১২ রান প্রয়োজন, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট সরিয়ে নিবে? চাপ সৃষ্টি করো। অস্ট্রেলিয়ানরা কি করে, তাঁরা একটা বা দুইটা উইকেট তুলে নিতে পারলে প্লেয়ারদের ৩০ গজের ভিতর নিয়ে আসে ব্যাটারদের চাপে ফেলার জন্য।’
তবে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেয়া বেশ কঠিন, মানছেন তিনিও। এই তারকা বলেন, ‘জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করা একটি সম্মানের ব্যাপার কিন্তু এটি মোটেই সহজ কাজ নয়। আপনি যখন ভালো করেন, তখন সবাই আপনার প্রশংসা করবে আবার খারাপ করলে সবাই আপনাকেই দোষ দিবে।’