তিন ম্যাচে এক জয়, পাকিস্তানের সুপার এইট ভাগ্য তাই সুতোয় ঝুলছে। সুপার এইটের দৌঁড়ে তাঁদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই তো পরের রাউন্ডে জায়গা পেতে কঠিন সমীকরণের মারপ্যাঁচ পেরুতে হবে বাবর আজমের দলকে। শুধু নিজেদের ম্যাচে জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচের দিকেও।
আপাতদৃষ্টিতে অবশ্য মনে হচ্ছে, দুই দলের সমান চার পয়েন্ট হলে নেট রান রেটের হিসেবে বাদ যেতে পারে পাকিস্তান। কিন্তু গাণিতিক হিসেব বলছে, নেট রান রেটের কারণে তাঁরা বাদ পড়বে এমন সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ। অর্থাৎ নিজেদের শেষ ম্যাচ জিততে পারলে এবং স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র আর কোন পয়েন্ট না পেলেই সেরা আটে চলে যাবে ম্যান ইন গ্রিনরা।
কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে বারবার উঠে এসেছিল নেট রান রেটের বিষয়টি। সাধারণ দর্শক, ধারাভাষ্যকার সবাই পাকিস্তানের কাছে বড় জয়ের ইন্টেন্ট দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কেবল পনেরো বল হাতে রেখেছে জিতেছে এদিন। যদিও নেট রান রেটের হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থায় আসার জন্য এটাই যথেষ্ট।
কেননা পাকিস্তানের নেট রান রেট এখন ০.১৯১ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেটি ০.৬২৬। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ছোট একটা পরাজয় ব্যবধান কমিয়ে সমতায় নিয়ে আসবে দুই দলকে। যেহেতু তিন ম্যাচ বাকি তাই পুরোপুরি নিখুঁত হিসেব দেয়া কিছুটা কঠিন।
তবে, এতটুকু বলা যায় যে পাকিস্তান যে-ই ব্যবধানেই জিতুক আর মার্কিনিরা যে-ই ব্যবধানেই দুই ম্যাচ হারুক নেট রান রেটে এগিয়ে যাবে এশিয়ান প্রতিনিধিরা। সমর্থকেরা তাই চাইলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন। অন্তত ক্যালকুলেটর নিয়ে নেট রান রেটের দুরূহ অঙ্ক কষতে হবে না তাঁদের।
অবশ্য বৃষ্টি আবার সেই স্বস্তি দূর করে দিয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী প্রায় এক সপ্তাহ ফ্লোরিডায় হতে পারে তুমুল বর্ষণ। এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ। এর মধ্যে একটি ম্যাচও যদি ভেসে যায় তাহলে বাদ পড়বে পাকিস্তান – ক্যালকুলেটর রেখে তাই বৃষ্টি না হওয়ার প্রার্থনা করা উচিত এখন।