ভারতীয় মালিকানায় খেলবেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

কেননা এই ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলতে চলেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও। যদিও ভারতীয় প্রতিষ্ঠানদের দখলে রয়েছে অধিকাংশ দলের মালিকানা।

দিনক্ষণ ঠিকঠাক, মাঠে গড়ানোর প্রস্তুতিই যেন নিচ্ছে মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি)। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রথমবারের মত বসতে চলেছে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আসর। এমনিতে কালেভদ্রে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটে টুকটাক খোঁজ-খবর মেলে সংবাদ মাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

পেছনের কারণ সম্ভবত উপমহাদেশের বিভিন্ন খেলোয়াড়ের যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট দলের সাথে সম্পৃক্ততা। ক্রিকেটে দুনিয়ায় খুব একটা প্রভাব নেই যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের। তবে তারা সেই প্রভাবটা বিস্তার করতে চাইছে এমএলসির হাত ধরে। ক্রিকেটের বিশ্বায়নে অংশ নিতেই যেন আয়োজন করা হচ্ছে এই ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।

সত্যিকার অর্থেই যেন বিস্তারটা ঘটছে। কেননা এই ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলতে চলেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও। যদিও ভারতীয় প্রতিষ্ঠানদের দখলে রয়েছে অধিকাংশ দলের মালিকানা। তবুও যেন পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের জায়গা হচ্ছে মেজর লিগ ক্রিকেটে। তবে প্রথম সারির কোন ক্রিকেটারকেই দেখা যাবে না সেখানে।

সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি খেলোয়াড় রয়েছেন এমআই নিউ ইয়োর্ক দলে। মোট তিন জন পাকিস্তানি খেলবেন সে দলে। এই দলটির মালিকানা সত্ত্ব দখলে রেখেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সফল ফ্রাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

এহসান আদিল, হামাদ আজম, শায়ান জাহাঙ্গীর এই তিনজন খেলবেন নিউ ইয়োর্কের হয়ে। এদের তিনজনই পাকিস্তানের হয়ে বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন। তবে শায়ান তার ক্যারিয়ারের গতিপথ বদলে বনে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটার। তাছাড়া এহসান ও হামাদের পাকিস্তান সুপার লিগ খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

অন্যদিকে চেন্নাই সুপার কিংস ফ্রাঞ্চাইজির অধীনে রয়েছে টেক্সাস সুপার কিংস। সেই দলেও রয়েছে পাকিস্তানি খেলোয়াড়। সংখ্যার বিচারে যা কেবল এক। একই সংখ্যা লস এঞ্জেলেস নাইট রাইডার্স দলেও। টেক্সাস সুপার কিংস দলে থাকা সামি আসলাম পাকিস্তানের হয়ে ১৩টি টেস্ট ম্যাচও খেলেছেন। নাইট সাইফ বাদার পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ছিলেন।

তাছাড়া পাকিস্তান সুপার লিগে তিনি ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও মুলতান সুলতানের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন। ওয়াশিংটন ফ্রিডমের হয়ে মাঠে দেখা যেতে পারে দু’জন পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে। এদের মধ্যে মুক্তার আহমেদ পাকিস্তানের হয়ে ছয়টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওপেনিং করেছেন। সাদ আলি খেলেছেন দুইটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ।

সিয়াটেল ওরকাসে রয়েছেন নোমান আনোয়ার। তিনিও পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ভারত-পাকিস্তান ভূ-রাজনৈতিক দ্বৈরথের কারণে ভারতীয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ মেলে না পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। তবে সে বাঁধা থাকছে না মেজর লিগ ক্রিকেটে। ভারতীয় মালিকানাধীন দলে তাই থাকছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...