‘বিরক্তিকর’ পাকিস্তানের ফিল্ডিং

অস্ট্রেলিয়ার সাথে লড়াই করেই হেরেছে পাকিস্তান, ৩৬৭ রানের পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪৫ ওভারে ৩০৫ রান করেছিল বাবর আজমরা – হাতে উইকেট থাকলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল বদলে দিতে পারতো দলটি। তবে ব্যাটিং ভাল হলেও পাকিস্তানি ফিল্ডাররা হতাশ করছে বারবার।

অজিদের বিপক্ষেও কয়েকবার সহজ ক্যাচ মিস করেছে তাঁরা, ম্যাচের নায়ক ডেভিড ওয়ার্নার দুইবার জীবন পেয়েছেন – প্রথমবার পঞ্চম ওভারে মিড উইকেটে আর দ্বিতীয়বার সেঞ্চুরি করার পরপরই। এছাড়া স্টিভ স্মিথের ক্যাচও তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।

এই সুযোগ গুলো কাজে লাগাতে পারলে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে হয়তো এত রান করা সম্ভব হতো না। বিশেষ করে শুরুর দিকে উইকেট তুলে নিলে মার্শ-ওয়ার্নারের তান্ডবের মুখে পড়তো না হারিস রউফরা।

পাকিস্তানের ফিল্ডিংয়ের এমন দুর্দশা চোখ এড়ায়নি কারোই। ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থক সবাই কাঠগড়ায় তুলেছে ফিল্ডিংকেই। বাদ যাননি স্পিডস্টার শোয়েব আক্তারও, নিজের টুইটার একাউন্টে কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।

এই তারকা লিখেন, ‘ভাল কথা, তোমরা সুযোগ তৈরিই করতে পারছো না। অন্তত যেগুলো ব্যাটাররা দিচ্ছে সেগুলো কাজে লাগাও। কাম অন, এতগুলো ক্যাচ মিস করতে পারো না।’

সত্যি বলতে বিশ্বকাপের মত টুর্নামেন্টে এমন ক্যাচ মিস মেনে নেয়া যায় না। তবু পাকিস্তান এসব ভুল না শুধরেই খেলে যাচ্ছে ম্যাচের পর ম্যাচ।

এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও কুশল মেন্ডিসকে ইনিংসের শুরুতে জীবন দিয়েছিলেন ইমাম উল হক। পরবর্তীতে আউট হওয়ার ১২২ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেছিলেন এই লঙ্কান। ভাগ্যিস, সেদিন ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে ভর করে ম্যাচ জিতেছিল রিজওয়ান, শফিকরা।

শুধু ক্যাচিং নয়, রান বাঁচানোর ক্ষেত্রেও পিছিয়ে আছে দলটি। সিঙ্গেলস, ডাবল আটকে ব্যাটারকে চাপে রাখতে দেখা যায় না তেমন; সেজন্যই মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট শিকার করা কঠিন হয়ে পড়ে বোলারদের জন্য।

তুলনামূলক দুর্বল বোলিং লাইনআপের সাথে ক্যাচ মিস করে উৎরে গেলেও অজিদের বিপক্ষে ঠিকই হেরে গিয়েছে পাকিস্তান। তাই এমন ফিল্ডিং মিস চলতে থাকলে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মত দলগুলোর সাথে নিশ্চিতভাবেই কঠিন মূল্য দিতে হবে তাঁদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link