টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার দুইমাসও বাকি নেই; অংশগ্রহণকারী দেশগুলো তাই ব্যস্ত সময় পার করছে স্কোয়াড গুছানোর কাজে। ব্যতিক্রম নয় ভারতও, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) চলার মাঝেই রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়রা ঠিক করে রাখছেন কারা যাবেন বিশ্ব আসরে। তবে এসবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠেছে মূল একাদশে কে হবেন উইকেটকিপার?
লোকেশ রাহুল বরাবরের মতই আছেন টিম ম্যানেজম্যান্টের ভাবনায়। কিন্তু তাঁর আইপিএল ফর্ম সন্তোষজনক নয়; অন্যদিকে বিতর্কিত ঈশান কিষাণ পারফরম করছেন, বাঁ-হাতি হওয়ায় তাঁকে দলে নিলে বৈচিত্র্য বাড়বে ব্যাটিং লাইনআপে। আবার দীনেশ কার্তিক কিংবা জীতেশ শর্মাদের মাঝে কেউ একজনও ‘সারপ্রাইজ প্যাক’ হিসেবে বিশ্বকাপ দলে চলে আসতে পারেন।
যদিও আইপিএলের প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর সাঞ্জু স্যামসন আর ঋষাভ পান্ত বাকি সব প্রতিদ্বন্দ্বিদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। বিশেষ করে স্যামসন তো এখন টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক; আগের মৌসুমগুলোতে প্রথম দুই তিন ম্যাচ ভাল খেলে ছন্দ হারিয়ে ফেলতেন তিনি, কিন্তু এবার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন দারুণভাবে।
ছয় ইনিংসে ১৫৫ স্ট্রাইক রেটে ২৬৪ রান করেছেন এই ডানহাতি। তবে চিন্তার কারণ, তাঁর ব্যাটিং অর্ডার। রাজস্থানের হয়ে তিন নম্বরে খেলছেন তিনি, কিন্তু ভারতের টপ অর্ডারে তাঁকে জায়গা দেয়া সম্ভব নয়। ফলে একাদশে রাখলে এই তারকাকে খেলতে হবে মিডল অর্ডারে, এখন মিডল অর্ডারে আইপিএলের পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
ঠিক এ জায়গায় এগিয়ে আছেন ঋষাভ পান্ত। মিডল অর্ডার ব্যাটার হওয়ায় হার্দিক পান্ডিয়া, রিংকু সিংদের সঙ্গে মাঝের ওভার গুলো ভালভাবেই সামলাতে পারবেন তিনি। তাছাড়া এত এত ডানহাতির ভিড়ে তিনি বাঁ-হাতি হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাবেন নিশ্চয়ই। আবার ব্যাটার হিসেবে এই উইকেটরক্ষক ভার্সেটাইল-ও, তাই যেকোনো পজিশনে তাঁকে ব্যবহার করতে পারবে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
দীর্ঘ ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন তিনি, খেলায় অবশ্য সেটির ছাপ নেই। প্রায় ১৬০ স্ট্রাইক রেটে ইতোমধ্যে ১৯৪ রান করেছেন পান্ত, সেজন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকাগামী বিমানের টিকিট তিনি পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।