এক ‘ঠিকানা’য় বিশ্বাসী তাঁরা

বিদেশি ক্রিকেটাররা আইপিএলের রঙ বাড়িয়ে দেন বহুগুণে। কোনো দলই এই বিদেশি ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে একাদশ বানানোর কথা কল্পনাও করতে পারেনা। অনেক সময়ই দেখা যায় কোনো বিদেশি ক্রিকেটারই হয়ে উঠেন দলের মূল স্তম্ভ কিংবা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ফলে সেই ক্রিকেটারকে ফ্র্যাঞ্চাইজি সহজে ছাড়তে চায়না। সেই ক্রিকেটাররাও একই দলের হয়ে খেলে যান অনেক গুলো বছর।

ভারতের প্রত্যেকটি উঠতি ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার। এর অন্যতম কারণ এই আসরে খেলা বিশ্ব ক্রিকেটের তারকারা। বিশ্বের নানা দেশের সেরা ক্রিকেটাররাও ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর হয়ে আইপিএল খেলতে যান। ফলে ভারতের নতুন ক্রিকেটারদের সুযোগ হয় এই তারকাদের সাথে ম্যাচ খেলার।

তাছাড়া এই বিদেশি ক্রিকেটাররা আইপিএলের রঙ বাড়িয়ে দেন বহুগুণে। কোনো দলই এই বিদেশি ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে একাদশ বানানোর কথা কল্পনাও করতে পারেনা। অনেক সময়ই দেখা যায় কোনো বিদেশি ক্রিকেটারই হয়ে উঠেন দলের মূল স্তম্ভ কিংবা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ফলে সেই ক্রিকেটারকে ফ্র্যাঞ্চাইজি সহজে ছাড়তে চায়না। সেই ক্রিকেটাররাও একই দলের হয়ে খেলে যান অনেক গুলো বছর।

লম্ব সময় একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাটানো ক্রিকেটারদের কথাই বলবো এবার।

  • এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকার এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান আইপিএলে ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। প্রতি বছর মাঠের চারদিকে তাঁর দর্শনীয় সব শট তাঁকে করে তুলছে অনন্য। আইপিএলে বোলারদের জন্য রীতিমত এক আতঙ্কের নাম এবি ডি ভিলিয়ার্স। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এখন অবধি ১৭৬ টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

সেখানে ৪০.৭৭ গড়ে এবং ১৫২.৩৮ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৫০৫৬ রান। এই সংখ্যা গুলোই বলে দেয় আইপিএলে তাঁর রাজত্বের পরিধি কতটা। আইপিএলে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল দিল্লির হয়ে। তবে ২০১১ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে যোগ দেয়ার পর থেকে এখনো তিনি দলটির হয়ে খেলে যাচ্ছেন।

  • কাইরেন পোলার্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

আইপিএলসহ বিশ্বের নানা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গুলোর মূল আকর্ষণ থাকে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা। কাইরন পোলার্ড তাঁদের মধ্যে অন্যতম সেরা। আইপিএলের সফলতম ক্রিকেটারদের একজন তিনি। তাঁর পুরো আইপিএল ক্যারিয়ার কেটেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে।

২০১০ সালে মুম্বাইয়ে যোগ দেয়ার পর থেকে এখন অবধি দলটির হয়ে পাঁচ বার আইপিএলের শিরোপা জিতেছেন। এটাও কম বিস্ময়কর নয়। এই লিগে এখন অবধি খেলেছেন ১৭১ টি ম্যাচ। সেখানে ব্যাট হাতে করেছেন ৩১৯১ রান ও বল হাতে নিয়েছেন ৬৩ টি উইকেট।

  • লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)

আইপিএলের সফলতম পেসারদের একজন লাসিথ মালিঙ্গা। তাঁর ওই ঝাকড়া চুলের বিচিত্র বোলিং অ্যাকশন এবং দুর্দান্ত ইয়োর্কার আপনাকে বারবার মুগ্ধ করেছে নিশ্চই। মুগ্ধ করেছে তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকেও। আইপিএলে ক্যারিয়ার শুরু এবং শেষ করেছেন এই দলটির হয়েই।

তাঁর আইপিএল ক্যারিয়ারের শেষ বলে উইকেট নিয়ে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন শিরোপা জয়ের পথে। আইপিএলে মুম্বাইয়ের হয়ে খেলা ১২২ ম্যাচে নিয়েছেন ১৭০ উইকেট। সেখানে তাঁর বোলিং গড় মাত্র ১৯.৭৯।

  • ডোয়াইন ব্রাভো (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক সফল ও আকর্ষনীয় ক্রিকেটার ডোয়াইন ব্রাভো। যার ব্যাটে ঝড়ের সাথে, তাঁর গানের তালেও নেচে উঠে হাজারো ক্রিকেটের ভক্তের মন। তাঁর আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম তিন বছর খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে।

তবে ২০১১ সাল থেকে এখন অবধি মোট ৮ টি মৌসুম খেলেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। আইপিএলে এখন অবধি খেলেছেন ১৪৪ টি ম্যাচ। সেখানে ব্যাট হাতে করেছেন ১৫১০ রান। বল হাতেও নিয়েছেন ১৫৬ উইকেট। সবমিলিয়ে ব্যাট-বল দুই ডিপার্টমেন্টেই চেন্নাইয়ের গেইম চেঞ্জার এই অলরাউন্ডার।

  • ফাফ ডু প্লেসিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক আক্রমনাত্মক ব্যাটসম্যান ফাফ ডু প্লেসিস। ২০১১ সালে ধোনির দল চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দেন তিনি। মাঝে চেন্নাই নিষিদ্ধ হবার পর ধোনির সাথেই খেলেছিলেন রাইজিং পুনে সুপারজায়েন্টের হয়ে। তারপর দুজনের আবার ফিরে আসেন চেন্নাই সুপার কিংসে।

এখন অবধি খেলা ৯১ টি ম্যাচে করেছেন ২৬২২ রান। বল হাতেও তাঁর ঝুলিতে আছে ১৬ টি উইকেত। সবমিলিয়ে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং লাইন আপের স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন এই ব্যাটার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...