টি-টোয়েন্টির বিস্ময়কর বোলিংনামা

ক্রিকেটটা এখন নাকি কেবলই ব্যাটসম্যানদের খেলা! টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চার-ছক্কার জোয়ারে বোলাররা আর তাঁদের স্কিল দেখানোর সুযোগটা পান কই। এমনকি এই ফরম্যাটের নিয়ম কানুনও মোটামুটি সব ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। দর্শকরাও মূলত রানই দেখতে চান।

তাছাড়া একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একজন বোলারে হাতে থাকে সর্বসাকুল্যে ২৪টি বল। এর মধ্যেই যা করে দেখানো যায়। বর্তমানে ওয়ানডে ক্রিকেটেও ব্যাটসম্যানদেরই রাজত্ব।

কোনো ইনিংসে একজন বোলারের ৫-৬ উইকেট নেয়ার দৃশ্য খুবই বিরল। আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫ বা তাঁর বেশি উইকেট নেয়াটা মোটামুটি অসম্ভব ব্যাপার। তবে এই অসম্ভবই সম্ভব করেছেন চারজন বোলার। যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই নিয়েছেন ৬ উইকেট। আপনাদের জন্য এই এক্সট্রা-অর্ডিনারি বোলিং পারফর্মেন্স গুলোই তুলে এনেছে খেলা ৭১।

  • দীপক চাহার (ভারত)

ভারতের এই পেসার বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৭ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। এটিই এখন অবধি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেরা বোলিং ফিগার। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৭৪ রান করে ভারত। জবাবে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামলে বল হাতে এই ঝড় তুলেন দীপক চাহার। চেন্নাই সুপার কিংসের এই বোলার মাত্র ২০ বলেই এই কান্ড করেন।

  • অজন্তা মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা)

শ্রীলঙ্কান এই সাবেক রহস্য স্পিনারও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিয়েছেন ৬ উইকেট। তিনিই বিশ্বের একমাত্র বোলার যিনি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুইবার ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন। প্রথমে ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৬ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। তারপর এর পরের বছরই আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে  ৬ উইকেট নেন এই স্পিনার।

  • যুজবেন্দ্র চাহাল (ভারত)

ভারতের এই স্পিনার ইংল্যান্ডের সাথে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। ঘরের মাঠ ব্যাঙ্গালুরুর হাই স্কোরিং পিচে ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নেমে করেন ২০২ রান। তবে ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নামলে যুজবেন্দ্র চাহাল একাই ধবসিয়ে দেন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ। এই লেগি সেদিন ২৭ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট।

  • অ্যাশটন অ্যাগার (অস্ট্রেলিয়া)

এই তালিকায় সম্প্রতি নিজের নাম তুলেছেন অজি স্পিনার অ্যাশটন অগ্যার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে চাপে পড়ে যায় অজিরা। তবে তৃতীয় ম্যাচে তাঁর বোলিং এ ভর করে ম্যাচ জিতে যায় অজিরা। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ও বিশ্বের চতুর্থ বোলার হিসেবে কোনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। সেদিন ৩০ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন অ্যাশটন অ্যাগার।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link