ওয়েস্ট ইন্ডিজ মানেই ছক্কার সাম্রাজ্য, এবার সেই সাম্রাজ্যের নয়া অধিপতি হলেন নিকোলাস পুরান। যেকোনো ধরনের টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকা বর্ষে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড এতদিন দখলে ছিল ক্রিস গেইলের।
এবার উত্তরসূরিকে সরিয়ে এই কীর্তি নিজের করে নিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ নয় বছর পর শীর্ষস্থান হারিয়েছেন গেইল।চলতি ক্যারিবিয়াস প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) দিয়ে নতুন অর্জন যোগ হলো পুরানের ঝুলিতে।
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে গত ৩১ আগস্ট সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। এ ম্যাচে মাত্র ৪৩ বলে ৯৭ রানের ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে, হাঁকিয়েছেন নয়টি ছক্কা। তাতেই চলতি বছরে তাঁর মোট ছক্কার সংখ্যা হলো ১৩৯টি!
এর আগে ২০১৫ সালে ১৩৫টি ছক্কা মেরেছিলেন ক্রিস গেইল। এছাড়া ২০১১ সালে ১১৬টি এবং ২০১২ সালে ১২১টি ছক্কা মারার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর – সেজন্যই বোধহয় ছক্কা মানব বলা হয় তাঁকে।
তবে পুরান বোধহয় কল্পনাকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন, বছর শেষ হওয়ার এখনও চার মাস বাকি থাকতেই ওভার বাউন্ডারির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। বাকি সময়ে নিজেকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবেন নিশ্চয়ই।
তবে শুধু এদিকে নয়, রান করার দিক দিয়েও উড়ন্ত ফর্মে আছেন তিনি। এখন পর্যন্ত সব ধরণের টি-টোয়েন্টিতে তাঁর সংগ্রহ ১৮৪৪ রান, আপাতত তাই এক পঞ্জিকা বর্ষে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় তিন নম্বরে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
তবে এই বাঁ-হাতি যে আরও উপরে উঠবেন সেটা নিশ্চিত প্রায়। ২০২২ সালে অ্যালেক্স হেলস বিশ ওভারের ফরম্যাটে ১৯৪৬ রান করেছিলেন, এর আগের বছরে মোহাম্মদ রিজওয়ান করেছিলেন ২০৩৬ রান। কিন্তু ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষকের দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ের কাছে দুইটি রেকর্ডের অস্তিত্ব হুমকির মুখে।
ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমানতালে পারফর্ম করে যাচ্ছেন এই তারকা, সেটারই ছাপ পড়েছে পরিসংখ্যান আর রেকর্ড বুকে। সামনের মাসগুলোতে এসব আরও সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করবেন তিনি, ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে কাজটা মোটেই কঠিন হবে না তাঁর জন্য।