পোপের মাথায় ক্যামেরা!

ক্রিকেটের স্ট্যাম্পে ক্যামেরা সংযুক্ত থাকতে শুনেছেন নিশ্চয়ই, কিন্তু ফিল্ডারের হেলমেটে ক্যামেরা যুক্ত থাকতে শুনেছেন কখনো? অবশ্য নিখুঁত ক্রিকেটের জন্য কতো কিইবা ঘটে ক্রিকেটের মাঠে। হেড মাউন্ট ক্যামেরার কাজ মূলত ক্রিকেটের নিখুঁত সম্প্রচার।

ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) শর্ট লেগ ফিল্ডারে একটি হেডমাউন্ট করা ক্যামেরা চালু করার অনুমোদন দিয়েছে। যার ফলে দর্শকদের জন্য একটি নতুন লাইভ অভিজ্ঞতা হবে। পহেলা জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হতে যাওয়া ইংল্যান্ডভারত টেস্ট থেকে এই নিয়ম চালু হতে যাচ্ছে।

বার্মিংহাম টেস্টের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার স্কাই স্পোর্টসের সিনিয়র প্রযোজক রবিন রিভ ক্রিকবাজকে বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচে মাঠের ভেতর থেকে দর্শকদের একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই নিয়ম করা হয়েছে।’

প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ইংল্যান্ডের ক্লোজইন ফিল্ডার অলি পোপ তার হেলমেটে ক্যামেরাটি সংযুক্ত করবেন। স্কাই অফিশিয়াল আরও বলে এই পদক্ষেপটি ক্রিকেট বোর্ডের অনুমোদনের পাশাপাশি ইংল্যান্ড দলের কোচ ও অধিনায়কের সম্মতিও পেয়েছে। বৃহস্পতিবার এজবাস্টন মাঠে ইংল্যান্ড দলের নেট প্র্যাকটিসের সময় এটি পরীক্ষা করা হয়েছিল।

রিভ বলেন, ‘অলি পোপ এটি পরীক্ষা করেছেন এবং তার হেলমেটে ক্যামেরা পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত।’ ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস ও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের থাম্বসআপ পেয়েছেন পোপ। তবে, ভারতীয় শর্ট লেগ ফিল্ডার তার হেলমেটে ক্যামেরা যুক্ত করবেন এমন কোন ইঙ্গিত নেই। রিভের মতে এমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। 

তাহলে কেন শর্ট লেগ ফিল্ডার? স্কাই স্পোর্টস এই বিষয়ে গবেষণা করে দেখেছেন যে, শর্ট লেগ ফিল্ডারই এই প্রক্রিয়া পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত। যদি এর পরীক্ষামুলক পর্যবেক্ষণ সফল হয় তবে অন্য ফিল্ডারদেরও ক্যামেরা মাউন্টের চেষ্টা করা হবে। যদিও গত বছর ইংল্যান্ডে দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টের সময় এটি পরীক্ষা করা হয়েছিল।

তবে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই প্রথম। এমনকি বিগ ব্যাশ লিগেও এটি করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সেসব ক্ষেত্রে ক্যামেরা ব্যাটসম্যানদের মাথায় ছিল। রিভ বলেন, আমরা সর্বদা উদ্ভাবন করতে চাই এবং দ্য হান্ড্রেডে ক্যামেরার চিত্রগুলি অবিশ্বাস্য লাগছিল।’ 

ক্রিকবাজের ধারণা, হেড মাউন্ট ক্যামেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আইসিসির অপারেশন রেগুলেশনের ভিত্তিতে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলার মাঠের সম্প্রচার প্রযুক্তির জন্য। যাতে ক্রিকেট দেখতে আরও উপভোগ্য হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এবং ক্রিকেট সম্প্রচার ব্যবসা আরো লাভবান হয়। তাছাড়া ক্রিকেট মাঠে খেলার নিখুঁত বিশ্লেষণ এর ব্যাপারটি তো আছেই। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link