আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

বিশ্বকাপের আর বেশিদিন বাকি নেই। প্রায় প্রতিটা দলই নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বকাপের চিন্তা মাথায় রেখেই হয়ত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের জন্যে একাদশ নির্বাচন করবে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট।

একাদশে খুব বেশি চমক থাকবার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে মিডল অর্ডারের জায়গাটা নির্ধারিতই বলা চলে। স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক তামিম ইকবাল ইনিংসের সূচনা করবেন। তার সঙ্গী হয়ে লিটন দাসের বাইশ গজে আসার সম্ভাবনাই প্রবল। অধিনায়ক তামিম ইকবাল হয়ত ফর্মহীনতায় ভুগছেন। লিটন ঠিক তার উল্টো।

এখন স্রেফ তামিমের স্বরুপে ফেরার অপেক্ষা। অন্যদিকে তিন নম্বর ব্যাটিং পজিশনে নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেকে থিতু করে ফেলেছেন। আর চারে তাওহীদ হৃদয়ের বিকল্প হয়ত এখন আর ভাবতে চাইবে না টিম ম্যানেজমেন্ট।

পাঁচ নম্বরে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। বহুদিন বাদে আবারও ব্যাটে রান পেতে শুরু করেছেন। ব্যাটিং রোল আর পজিশনে পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথেই যেন আগ্রাসী একটা রুপে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি। সেই আগ্রাসনের পূর্ণ ফায়দাটাই হয়ত তুলে নিতে চাইবে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে সাকিব আল হাসানের দলে থাকা প্রায় সুনিশ্চিত। তিনি হয়ত ছয় নম্বরে ব্যাট করবেন। দল অন্তত তাকে সে রোলেই দেখতে চায়। তাছাড়া বল হাতে তিনি বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র সে আর নতুন করে বলার নয়।

এই পর্যন্ত বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। মূল সমস্যার শুরু সাত নম্বর পজিশনকে ঘিরে। এই পজিশনে বেশ একটা লম্বা সময় ধরে খেলে আসছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তিনি নেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হওয়া সিরিজে। তাইতো সাত নম্বরের মূল লড়াইটা হবে ইয়াসির আলী চৌধুরি ও মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যে।

আবার এক্ষেত্রেও বেশ কিছু হিসেবে-নিকেশ রয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে। সেখানকার উইকেট স্বাভাবিকভাবেই পেস বান্ধব হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই তিন জনের কম পেসার নিয়ে খেলতে চাইবে না।

ফর্মে থাকা তাসকিন আহমেদ ইনজুরিতে। তাইতো পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দিতে হতে পারে এবাদত হোসেনকে। তার সাথে হাসান মাহমুদের একাদশে থাকার সম্ভবনাই সবচেয়ে বেশি। এখন টিম ম্যানেজমেন্ট বাড়তি একজন পেসার খেলাতে চাইলে মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে শরিফুল ইসলাম পেতে পারেন সুযোগ।

আবার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির অভিষেকের সম্ভাবনাও ফেলে দেওয়ার নয়। তাছাড়া মৃত্যুঞ্জয় ব্যাটটাও চালাতে জানেন বেশ। সেদিক থেকে বাড়তি এক ভরসার প্রতীক হতে পারেন তিনি। তবে এতটা আগ্রাসী না হতে চাইলে তাইজুল ইসলামকে একাদশে দেখা যাওয়ার কথা।

মোটামুটি তিন জন পেসারের সাথে একজন স্পিনার, সেই সাথে সাকিব আল হাসান। বোলিং আক্রমণটা এমনই হবার সম্ভাবনা প্রবল। সেদিক বিবেচনায় সাত নম্বরে ইয়াসির হয়ত আরও একবার নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পেয়ে যাবেন প্রথম ওয়ানডেতে।

তবে বিশ্বকাপকে ঘিরে ছক কষলে, মিরাজেরই সাত নম্বরে খেলার কথা। কেননা বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে ভারতের মাটিতে। স্পিনিং কন্ডিশন মাথায় রেখে, তাইজুল, সাকিবদের সাথে মিরাজের অন্তর্ভুক্তি হতে পারে বাংলাদেশের জন্যে আশীর্বাদ। কেননা একজন বাড়তি স্পিনারের পাশাপাশি একজন বাড়তি ব্যাটারও পেয়ে যাবে বাংলাদেশ।

নিজের সামর্থ্য ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছেন মিরাজ। স্রেফ সময়মত নিজের সক্ষমতার পরিচয় দিতে হবে তাকে। সেদিক থেকে মিরাজকেও দেখা যেতে পারে আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের একাদশে। তবে সব সমীকরণের শেষ ফলাফল জানতে সময়ের অপেক্ষা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link