টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান তিনি। গত বছরটা কেটেছে দুর্দান্ত। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতেই প্রথম বলে আউট হয়েছেন সুরিয়াকুমার যাদব। মিশেল স্টার্কের বলে দুই ম্যাচেই প্রায় একইভাবে আউট হয়েছেন সুরিয়া।
দুটি গোল্ডেন ডাকের পরই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে ওয়ানডে দলে এই হার্ডহিটারের জায়গা নিয়ে। ঘরের মাঠে এই বছরই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুরিয়াকে দলে নেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়টিও উঠে আসছে আলোচনায়।
গত অক্টোবর থেকেই টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানে আছে সুরিয়া। শুধু র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানই নয়, টি-টোয়েন্টিতে রীতিমতো বোলারদের জন্য ত্রাসের নাম সুরিয়া। সুরিয়ার শটগুলোর নতুনত্বের সামনে যেন রীতিমতো অসহায় থাকেন ব্যাটসম্যানরা। ৪৮ টি- টোয়েন্টিতে অবিশ্বাস্য ৪৬.৫৩ গড় আর ১৭৫.৭৬ স্ট্রাইক রেটই জানান দেয় টি-টোয়েন্টিতে কতটা অপ্রতিরোধ্য সুরিয়া।
টি-টোয়েন্টিতে এমন দুর্বার গতিতে ছুটলেও কখনোই সেভাবে গতি পায়নি সুরিয়ার ওয়ানডে ক্যারিয়ার। ২২ ওয়ানডে খেলে করেছেন মাত্র ৪৩৩ রান। ১০২.৩৬ স্ট্রাইক রেটটা দারুণ হলেও ২৫.৪৭ গড়টা ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের সাথে বেশ বেমানান।
ওয়ানডে একাদশে খুব একটা নিয়মিতও নন সুরিয়া। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে একাদশে জায়গা মিলেছে মূলত শ্রেয়াস আইয়ারের ইনজুরির ফলে। কিন্তু সুযোগটা মোটেও কাজে লাগাতে পারেননি এই ব্যাটার। উল্টো ওয়ানডেতে নিজের সামর্থ্যকেই ফেলেছেন প্রশ্নের মুখে।
টানা দুই ম্যাচে গোল্ডেন ডাকের শিকার হলেও সুরিয়া পাশেই পাচ্ছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। যেহেতু একাদশে খেলছেন, তাই সুরিয়াকে অন্তত ৮-১০ ম্যাচের জন্য সুযোগ দেবার পক্ষে রোহিত।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারার পর সুরিয়াকে নিয়ে দেয়া প্রশ্নের জবাবে রোহিত বলেন, ‘আমরা জানি না আইআর কখন ফিরবে তাই একাদশে একটা জায়গা ফাঁকা আছে এবং সেই জায়গায় আমরা তাকে খেলাতে চাই। সাদা বলে সে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছে ইতোমধ্যেই। আমি এর আগেও বলেছি যাদের সামর্থ্য আছে তাদের আমি পর্যাপ্ত সময় দেবার পক্ষে। এই ফরমেটে তাকে ভালো করতে হবে এবং সেটা সে জানে।’
একই ভাবে দুই ম্যাচেই সুরিয়ার শূন্য রানে আউট হওয়া নিয়েও চিন্তিত নন রোহিত, ‘হ্যাঁ, সে দুই বলে দুইবার আউট হয়ে গিয়েছে এবং আগের সিরিজেও ভালো করতে পারেনি। কিন্তু আমরা তাকে ৮-১০ ম্যাচ টানা সুযোগ দিতে চাই যেন সে সেখানে মানিয়ে নিতে পারে। এই মুহূর্তে সে ইনজুরি বা কারো অনুপস্থিতিতে দলে খেলছে। যখন সে এর পরেও দলের প্রয়োজন মেটাতে পারবে না তখন টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে নিয়ে ভাববে।’
আপাতত তাই প্রথম দুই ওয়ানডেতে নিজের খেলা প্রথম বলে আউট হয়ে গেলেও সুরিয়ার সামর্থ্যের ওপরই আস্থা রাখতে চাইছেন রোহিত। টি-টোয়েন্টির বিধ্বংসী সুরিয়াকে বিশ্বকাপের বছরে ওয়ানডে ফরমেটেও চেনা রূপে নিশ্চই দেখতে চাইবেন ভারতীয় অধিনায়ক।