এর আগে দুই দেখায় ভারতের কোন উইকেটই নিতে পারেননি রশিদ খান। এমন একটা পরিসংখ্যান জেনে নিশ্চয়ই বিস্ময় ভর করবার কথা। সময়ের অন্যতম সেরা বোলার রশিদ, ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে এর আগে পরীক্ষাই করতে পারেননি। তবে এদফা তিনখানা গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে বিপদে ফেলেছেন রোহিত শর্মার দলকে।
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২২ এশিয়া কাপে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান। সেই দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই খেলেছেন রশিদ। উইকেট শূন্য থাকার পাশাপাশি রান বিলিয়েছেন মুক্তহস্তে। কিন্তু এবার যে আফগানদের স্বপ্নটা বড়। তারা যে খেলতে চাইছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল।
অধিনায়ক রশিদকে তাই এগিয়ে আসতেই হয়েছে। দলকে খানিক হলেও স্বস্তি দিতে হয়েছে। ব্রিজটাউনে সে কাজটাই করেছেন আফগান এই লেগ স্পিনার। প্রথমে উইকেট শিকারের যাত্রা শুরু করেন ভয়ংকর হয়ে ওঠা ঋষাভ পান্তকে দিয়ে। নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোরে ফাঁদে ফেলেন মারমুখী হওয়া ঋষাভকে।
এরপর ভারতের মিডল অর্ডারকে নড়বড়ে করবার দায়িত্বটা তিনি নিজ কাঁধেই তুলে নেন। বিরাট কোহলির পর শিভাম দুবেকেও প্যাভিলনের পথ ধরান রশিদ খান। বাতাসের বড্ড প্রভাব রয়েছে ব্রিজটাউনে। তাছাড়া উইকেটে বল খানিকটা গ্রিপও করছে। ব্যাটে আসছে দেরীতে।
এমন এক পরিস্থিতিতে বাতাসের বিপরীতে লং অফ বরাবর লফটেড শট খেলেন বিরাট। সহজ এক ক্যাচ গিয়ে জমা হয় মোহাম্মদ নবীর হাতে। ভারতের বর্তমান একাদশে স্পিনের বিপক্ষে সবচেয়ে সাবলীল শিভাম। সেই শিভাম রশিদের এক লেগব্রেক বলে লেটকাট খেলার চেষ্টা করেন। তবে ব্যাটে বল লাগার আগেই তা আঘাত করে প্যাডে। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউয়ের সহয়তায় নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করেন রশিদ।
নিজের কোটা পূরণ করেন রশিদ। নির্ধারিত ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন মাত্র ২৬ রান। এটাই ভারতের বিপক্ষে তার সেরা বোলিং ফিগার। এর আগের দুই দেখায় এক ম্যাচে ৩৬ রান ও আরেক ম্যাচে ৩৩ রান হজম করতে হয়েছিল তাকে। সেই দুর্দশা অন্তত এবার হয়নি তার সঙ্গী। সেটাই বরং সবচেয়ে বড় স্বস্তি।