যে মাঠে আগের ম্যাচে ৩৩৪ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ, একই মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে চল্লিশ ওভারও ব্যাটিং করতে পারেনি তাঁরা। কারণটা সবারই জানা – পাকিস্তানের বিশ্বসেরা পেস ত্রয়ী। শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ আর নাসিম শাহদের বিধ্বংসী বোলিং নৈপুণ্যে ৬৩ বল হাতে রেখেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাবর আজমের দল।
পুরো ইনিংসে পেসাররা নিয়েছেন নয় উইকেট, তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করেছেন হারিস রউফ। শুরুতে নাইম শেখ, তাওহীদ হৃদয়কে আউট করে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে পাঠিয়েছিলেন তিনি; পরবর্তীতে আবার মুশফিকুর রহিম আর তাসকিন আহমেদকে ফিরিয়ে দুইশ এর আগেই থামিয়ে দেন টাইগারদের ইনিংস।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কারও উঠেছে এই পেসারের হাতে। লাহোরের তীব্র গরমের মাঝেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণ এখানে নিয়মিত খেলা, এমনটাই মনে করেন রউফ। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক গরম, তবে আমি এই আবহাওয়ায় প্রচুর খেলেছি। পিএসএলে আমি লাহোরের হয়ে খেলি, দর্শকরা সবসময় এখানে (লাহোরে) আমাদের ভাল খেলার প্রত্যাশা করে।’
আবার বোলিং ইউনিট হিসেবে পরিকল্পনা করা তাঁকে সাহায্য করেছে বলেও জানান এই ডানহাতি। তিনি বলেন, ‘যেকোনো ম্যাচের আগে আমরা কখন কেমন বোলিং করবো সেটি একসাথে পরিকল্পনা করি; স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বল করার পরিকল্পনা ছিল আজ, সেটি করার চেষ্টা করেছি প্রায় সময়। ইয়র্কার তেমন চেষ্টা করিনি।’
এশিয়া কাপে দারুণ ছন্দে থাকা হারিস রউফ ইতোমধ্যে তুলে নিয়েছেন নয়টি উইকেট। তবে এখানেই থামতে চান না তিনি। নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চান এই পাক পেসার; হতে চান টুর্নামেন্ট সেরা। এই ডানহাতি জানান, ‘আমি প্রচুর পরিশ্রম করি, আমার লক্ষ্যও অনেক বড়। এশিয়া কাপের প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হতে চাই, এখন দেখা যাক কি হয়।’
বোলার হয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া কিছুটা কঠিন বটে; তবে হারিস রউফ যেভাবে ছুটছেন তাতে তাঁর স্বপ্নকে অবাস্তব মনে হচ্ছে না মোটেই। আর রউফ যদি স্বপ্নকে বাস্তবে নামিয়ে আনতে পারেন, তবে পাকিস্তানের জন্যও অপেক্ষা করছে উদযাপনের উপলক্ষ।