ম্যাচের তখন ৮৯ মিনিট চলমান, রোজাডার হাফ ভলি জালে জড়াতেই উদযাপনে মেতে উঠেছিল লাস পালমাসের পুরো গ্যালারি। তবে রেফারি অফসাইডের সিদ্ধান্ত জানান। তাতেই রক্ষা পায় রিয়াল মাদ্রিদ, দলটার দুরাবস্থা বোঝানোর জন্য এ-ই বোধহয় যথেষ্ট। লা লিগার প্রথম তিন সপ্তাহে রীতিমতো অচেনা হয়ে উঠেছে তাঁরা। সবশেষ লাস পালমাসের বিপক্ষে ভাগ্য গুণে ১-১ গোলে ড্র করেছে, এর আগে মায়োর্কার বিপক্ষেও পয়েন্ট খুইয়ে ছিল।
উদ্বোধনী ম্যাচে হোঁচট খেলেও রিয়াল ভায়োলিদের ম্যাচে দারুণ একটা জয় পেয়েছিল কার্লো আনচেলত্তির বাহিনী। পালমাসের বিপক্ষে তাই আত্মবিশ্বাসের কমতি ছিল না কোন, কিন্তু রেফারির বাঁশি বাজার পাঁচ মিনিট না গড়াতেই তাঁদের জালে বল পাঠালেন পালমাস উইঙ্গার মলেইরো।
কিছু বুঝে উঠার আগেই পিছিয়ে পড়েছিল রিয়াল, তবে কামব্যাক যাদের অস্তিত্বে মিশে আছে তাঁরা এত সামান্য বাতাসে ভেঙে পড়বে না সেটা নিশ্চিত ছিল সমর্থকেরা। যদিও বারবার চেষ্টা করেও স্বাগতিকদের রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেননি ভিনিসিয়াস, এমবাপ্পে। দূরপাল্লার শটে জেসার চিল্লেসনকে বেশ ক’বার পরীক্ষা দিতে হলেও সেগুলো গোলের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
পরের অর্ধেও আরাধ্য মুহূর্তের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে লস ব্ল্যাঙ্কোস শিবির। ৫৬ মিনিটের মাথা ভিনি অবশ্য সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন, রিবাউন্ডে খালি গোলপোস্ট পেয়েও বল মেরেছেন বাইরে দিয়ে। তবে মিনিট দশেক পরে তাঁর শটের সুবাদে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা; তিনি নিজেই ঠান্ডা মাথায় স্পট কিক থেকে গোল করেন, ম্যাচে ফেরে সমতা।
লাস পালমাস অবশ্য ছেড়ে কথা বলেনি, কাউন্টার এটাকে প্রতিনিয়ত থিবো কোর্তোয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল। ভাগ্য সহায় না হলে হয়তো কোন পয়েন্ট ছাড়াই ফিরতে হতো রিয়ালকে।
তিন ম্যাচে দুই ড্র, এক জয় – এমন পারফরম্যান্স রিয়াল মাদ্রিদের কাছে কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয়। দুইটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে দু’বারই জয় ছাড়া মাঠ ছেড়ে আসা মানা যায় না আসলে। আনচেলত্তিকে দ্রুতই ভাববে হয় এ সমস্যা নিয়ে; রাতারাতি সমাধান না করতে পারলে গ্যালাকটিকো ২.০ নিয়েও হয়তো লিগ জেতার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে তাঁদের।