সাকিব: অনন্য, অদ্বিতীয়

টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই এতটা কার্যকর ক্রিকেটারই বা সাকিব ছাড়া আর কে? সাকিব আসলে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন। এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। এরমধ্যেই নামের পাশে জুড়ে দিয়েছেন অভাবনীয় সব রেকর্ড। সাকিবের রেকর্ড বইয়ের পাতাই উলটে দেখা হবে এই তালিকায়।

সাকিব আল হাসান, বাংলার ক্রিকেটে সাকিব এই একজনই। আসলে বিশ্বক্রিকেটেও সাকিব এই একজনই। রেকর্ড বইয়ের পাতা ওলট পালট করাই যার কাজ। ব্যাট ও বল দুই ডিপার্টমেন্টেই এতটা সাবলীল, এতটা স্মার্ট ক্রিকেটার ক্রিকেট দুনিয়া কমই দেখেছে।

টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই এতটা কার্যকর ক্রিকেটারই বা সাকিব ছাড়া আর কে? সাকিব আসলে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা একজন। এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। এরমধ্যেই নামের পাশে জুড়ে দিয়েছেন অভাবনীয় সব রেকর্ড। সাকিবের রেকর্ড বইয়ের পাতাই উলটে দেখা হবে এই তালিকায়।

  • ৫০০০ রান ও ২৫০ উইকেট (ওয়ানডে)

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসেই এই কীর্তিটা করতে পেরেছেন হাতেগোনা কয়েকজন। তবে তাঁদের মধ্যেও সবচেয়ে দ্রুত এই মাইলফলক ছুয়েছেন সাকিব আল হাসান। ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সাকিব ছুঁয়ে ফেলেন ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫০০০ রান ও ২৫০ উইকেট নেয়ার রেকর্ড। এতে সাকিব খেলেছেন মাত্র ১৯৯ ম্যাচ। তারপরেই আছেন আব্দুল রাজ্জাক, তাঁর খেলতে হয়েছিল ২৫৮ ম্যাচ।

  • টপ অব দ্য টেবিল

প্রায় এক যুগ ধরেই রাজত্বটা তিনি করছেন। আইসিসি অলরাউন্ড র‍্যাংকিং এর শীর্ষস্থানটা মোটামুটি অধিকাংশ সময়েই তাঁর দখলে ছিল। টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই তিনি নিজেকে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে প্রমাণ করেছেন। তবে সাকিব নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন আরো একটি জায়গায়। একইসময়ে তিন ফরম্যাটের অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়েই এক নম্বরে ছিলেন সাকিব। এই কীর্তিটা সাকিব ছাড়া আরো কারো নেই।

  • সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ৯৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তাঁর ঝুলিতে আছে ১১৯ উইকেট। এই ফরম্যাটে তাঁর ইকোনমি রেট মাত্র ৬.৬৭। টিম সাউদি, লাসিথ মালিঙ্গারাও আছেন তাঁর পিছনে।

  • অনন্য, অদ্বিতীয়

সাকিব আল হাসান এমন একজন যাকে ছোঁয়া যায় না। সাকিবের এই রেকর্ডও আজ অবধি কোন ক্রিকেটার ছুঁয়ে দেখতে পারেননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত এক যগ ধরে যে রাজত্বটা তিনি করছেন তাঁর সবচেয়ে বড় প্রমাণ এই কীর্তিটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর ঝুলিতে আছে ১০ হাজারের বেশি রান ও ৬০০ এর বেশি উইকেট।

  • ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট (টি-টোয়েন্টি)

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও সাকিবকে ছুঁয়ে দেখার সাধ্য কার। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এই সংস্করণেও চলছে তাঁর রাজত্ব। এই ফরম্যাটে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন সাকিব। এই কীর্তি গড়তে তাঁর সময় লেগেছে মাত্র ৮৪ ম্যাচ। ব্যাট হাতে ১০০০ রান ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন অনেক আগেই। আর বল হাতে ১০০ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে।

  • ৪০০০ রান ও ২০০ উইকেট (টেস্ট)

রঙিন পোশাকের মত সাদা পোশাকের ক্রিকেটেও সাকিব অনন্য। টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ৪০০০ রান ও ২০০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন সাকিব আল হাসান। তিনি ছাড়া এই রেকর্ডটি ছুঁয়ে দেখেছেন ইয়ান বোথাম, গ্যারি সোবার্স কিংবা কপিল দেবদের মত কিংবদন্তিরা। তনে এই মাইলফলক সবার আগে ছুঁয়ে দেখিয়েছেন সাকিবই। তিনি খেলেছেন মাত্র ৫৯ টেস্ট ম্যাচ। স্যার ইয়ান বোথামের প্রয়োজন হয়েছিল ৬৯ ম্যাচ।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...