পেশাদার ফুটবল লিগের আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৪তম আসর শুরু হওয়ার পর থেকেই যেন নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। যার মধ্যে সর্বাগ্রে থাকবে রেফারিং। ৩ ফেব্রুয়ারি আসর শুরুর হওয়ার পর একাধিক ম্যাচে বাজে সিদ্বান্তের শিকার হয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও বাংলাদেশ পুলিশের মতো দলগুলো। যা নিয়ে সমালোচনা মুখর হয়েছেন খোদ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে একমাত্র গোলে পরাজিত ম্যাচে সাইফ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া রেফারিকে লাথি মেরেছেন বলে লিগ কমিটির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও সাইফ এসসি ও জামাল দুজনেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছে। এছাড়া বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় পুলিশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ম্যাচেও বাজে রেফারিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পেলান্টি থেকে যে গোল পেয়েছিল বসুন্ধরা সেটি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। এসব নিয়ে এখন ক্লাবগুলো বেশ সরব। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে রেফারিং নিয়ে বিতর্কের শেষ কোথায়।
বিশ্ব ফুটবল যখন আধুনিকতার ছোয়ায় পরিপূর্ন হয়ে গেছে তখন বাংলাদেশ সেই তিমিরেই পড়ে রয়েছে। রেফারিদের বাজে বাশি বাজানোর বিষয়টি কোনভাবেই ফুটবলের অভিবাবক সংস্থা বাফুফে এড়িয়ে যেতে পারেনা। সে কারণেই বড় ম্যাচে বিদেশি রেফারির দাবী আবারো উঠেছে। সবমিলিয়ে দেশের ফুটবলের স্বার্থেই রেফারিং বিতর্কের সমাধান হওয়া উচিত। যা থেকে লাভবান হবে জনপ্রিয় খেলাটি।
- রেফারিং নিয়ে অসন্তুষ্ট কাজী সালাউদ্দিন
রেফারিং নিয়ে এবার খোদ বাফুফে সভাপতি কাজি সালাউদ্দিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মূলত বিপিএল ফুটবল শুরুর হওয়া থেকে একের পর এক বিতর্ক চলছে। প্রায় সব ম্যাচেই বাজে সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছে ছোট বড় কোনো না কোনো দল। মোহামেডানের বিপক্ষে সর্বশেষ রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে সাইফ স্পোর্টিং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়ে বলেছে, এভাবে চলতে থাকলে ফিফা, এফসিতে অভিযোগ জানানো ছাড়া কোন উপায় থাকবে না তাঁদের।
বাফুফে সভাপতি রেফারিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘প্রধান সমস্যা হচ্ছে রেফারিদের ধারাবাহিকতা নেই। কঠিন পরিস্থিতি সামলানোর মতো যথেষ্ট পরিণত না হওয়ায় সম্প্রতি দেখেছি সাইফের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অন্যায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। বসুন্ধরার বিপক্ষে পুলিশের ম্যাচের রেফারিং নিয়েও আমি খুশি হতে পারছিনা।’
যদিও লিগের শুরুতেই বিদেশি রেফারি আনার দাবি জানিয়ে রেখেছিল সাইফ এসসি। সেই দলটিই এবার সবার প্রথম বাজে রেফারিংয়ের শিকার হয়েছে।
- রেফারিদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলা হচ্ছে না তো?
রেফারিং নিয়ে অভিযোগের কোন অন্ত নেই। প্রায়শই খেলোয়াড়রা মাঠ ও মাঠের এ নিয়ে সরব হতে থাকে। এই যেমন, পুলিশ স্পোর্টিং ক্লাবের একজন খেলোয়াড় সহকারী রেফারির দিকে আঙ্গুল উচিঁয়ে কতটা টাকা নিয়ে উল্টাপাল্টা পতাকা উঠাচ্ছেন জানতে চেয়েছেন। এটিকে অনেকেই প্রতীকি ছবি বলছেন। কিন্তু রেফারিরা কেন বারবার এমনটি করছেন সে বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কাজ করা হচ্ছেনা।
অনেকের মত, রেফারিকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলা হচ্ছেনা তো? এই যেমন বাফুফে সভাপতি কাজি সালাউদ্দিন রেফারির মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। হেড অব রেফারিকে নিয়ে বসলেও খুববেশি সমাধানের কথা শোনা যায়নি। ম্যাচ হারলে সব দোষ যেন পড়ে রেফারিদের উপর। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পথটা কঠিন হয়ে যাবে। যাতে করে নতুন কেউ এই পেশায় আসতে চাইবে না।
খেলোয়াড়দের পাশাপাশি গ্যালারি থেকে দর্শকরাও দুয়োধ্বনি দিয়ে থাকেন রেফারিদের। ঘরোয়া ফুটবলে এই নীতি যেন রীতিতে পরিণত হয়েছে। এমনিতে বর্তমানে পেশাদার লিগে রেফারিদের ম্যাচপ্রতি ২৪০০ ও সহকারী রেফারি ২২০০ টাকা সম্মানি পেয়ে থাকেন। কোটি টাকার উপরে বকেয়া থাকায় সম্প্রতি ৪৪ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। সম্মানীর সাথে সম্মানটা পাওয়াও জরুরী তাদের জন্য। তাই দেশের ফুটবলের স্বার্থে রেফারিদের প্রতিপক্ষ না বানিয়ে সঙ্গী করেই কাজ করতে হবে।
- বাফুফে বিষয়টিকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে?
রেফারিদের নিয়ে নিত্যসঙ্গী বিতর্কটা যেন এবার আষ্টেপৃষ্টে লেপ্টে গেছে বাফুফের সঙ্গে। তারা কি ইচ্ছে করে এমনটি করছে নাকি ভুল করে করছে সেটি আগে নির্নয় করা প্রয়োজন। আর প্রয়োজনে বিদেশি রেফারির প্রয়োজন হলে সেই পথে হাটারও পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই বাফুফে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে রেফারিং নিয়ে সেই প্রশ্নও করছেন কেউ কেউ। আর রেফারিদের সঙ্গে তবে কি বাফুফের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও থাকছে?
বাফুফে সভাপতি অবশ্য বিষয়টি মানতে চান না। রেফারিরা নিজেদের জায়গায় ততটা দায়িত্ববান না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এখনো বড় ম্যাচ পরিচালনা করার মতো পরিণত না হওয়ায় চিন্তায় পড়ে গেছেন দেশের ফুটবলের এই অভিভাবক। লিগ নিষ্পত্তি কিংবা অবনমনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে বিদেশি রেফারি আনার দাবি তাই জোড়ালো হচ্ছে।
এর পাশাপাশি রেফারিদের খেলার অংশ মনে করে নিয়মিত বসার তাগিদ দিয়েছেন সাবেক ফিফা রেফারি মনসুর আজাদ, ‘আমাদের এখানে একটা রেফারিজ কমিটি আছে। সেটিকে নামেই বলতে হবে। ফিফার নিয়মানুসারে অভিজ্ঞ রেফারি থাকার কথা থাকলেও সেটি নেই। তাইতো বড় ম্যাচে সমস্যা হচ্ছে। যারা আছে তাদের নিয়ে কাজ করতে হলে আরও সময় দিতে হবে।’
- দুশ্চিন্তা বাড়ছে রেফারিং নিয়ে
মৌসুমের প্রথম বড় ম্যাচ আবাহনী লিমিটেড-মোহামেডান লিমিটেডের ম্যাচটি গত ২৩ ফেব্রæয়ারি সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমন বড় ম্যাচের সংখ্যা এবার প্রচুর। বিশেষ করে ৫/৬টি দলকে বড় দলের তকমা দেওয়া হলে এবার রেফারিদের কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। সে কারণে বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির দুশ্চিন্তা বাড়ছে রেফারি নিয়ে।
ঘরোয়া ফুটবলে বিতর্কিত রেফারিং অবশ্য নতুন কিছু নয়। বিপিএলের চলমান আসরেও দেখা মিলেছে তার। যে কারণে রেফারিদের ওপর মাঠে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। সবশেষ এমন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সাইফ স্পোর্টিং ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে সহকারী রেফারিকে লাথি দেওয়ার বিষয়টিও এখন তদন্তাধীন। মূলত প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই বাজে রেফারিংয়ের বলি হতে হচ্ছে দলগুলোই। একই কারণে ভারসাম্যও মেশানো যাচ্ছে না। ফলে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের সঠিক পথ খুঁজছে বাফুফে।
- ফেডারেশনের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই
যেহেতু বাফুফের রেফারিজ কমিটি দিয়ে পেশাদার লিগ কমিটি বিপিএলের খেলা পরিচালনা করছে, তাই কোন ভাল কিছু হলে যেমন প্রশংসা পেয়ে থাকেন ঠিক তেমনি খারাপ কিছু হলে সমালোচনার মুথে পড়তে হয়। তাই রেফারিকে নিয়ে কোন বিতর্ক তৈরি হলে বাফুফের দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই। রেফারিং নিয়ে সমালোচনা করে কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গ করায় সাম্প্ তিক সময়ে বাফুফের শোকজ ও আর্থিক জরিমানা শিকার হতে হয়েছে কিছু ক্লাব।
রেফারিদের সম্মান ও স্বার্থ রক্ষায় বাফুফে যেখানে এমন ভূমিকায় সেখানে খোদ বাফুফে সভাপতি সরাসরি রেফারির সিদ্ধান্ত বসুন্ধরার পক্ষে ও সাইফ এসসির বিপক্ষে যাচ্ছে। বাফুফে সভাপতির প্রকাশ্যে রেফারিদের সমালোচনা করায় ফুটবলাঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তি রেফারিং নিয়ে সরাসরি মন্তব্য অনেকেই মানতে পারছেনা। সাবেক ফিফা রেফারি এম আর মুকুল ও মনসুর আজাদ সমালোচনা করার আগে নিজেদের দিতে তাকানোর কথা বলেছেন।
মুকুল তো সরাসরিই বলেছেন, ‘অভিবাবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেফারির উপর কোন অভিযোগ আসলে বাফুফে তা এড়াতে পারেনা। তাদের উচিত রেফারিদের সাথে বসে সমস্যার সমাধান করা। কোনভাবেই রেফারিদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলা যাবেনা। এখন যা হচ্ছে তাতে করে রেফারিদের সম্মানহানি হচ্ছে।’
- প্রযুক্তির উন্নতি সমাধান দিতে পারে
ফুটবলবিশ্বে যেভাবে রেফারিদের সহায়তার জন্য প্রতিনিয়িত নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে সেখানে অনেক পিছিয়ে বাফুফে। তারা প্রযুক্তিগত কোন সহায়তাই দিতে পারছেনা ম্যাচ পরিচালনাকারীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা রেফারিদের। তাই বিদেশি রেফারিদের বড় ম্যাচে দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি প্রযুক্তির উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করতে বলেছেন বর্তমান ও সাবেক রেফারিরা।
সাইফ এসসি-শেখ রাসেল আলোচিত ম্যাচে রেফারি বিটুরাজকে যদিও অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। কোড অব কন্ট্রাক্ট মানলে অনেকেই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেফারি বলেছেন, ‘সারা বিশ্বের ফুটবল এখন অনেক এগিয়ে গেছে। বিশ্বকাপসহ ক্লাবের ম্যাচেও এখন ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের এখানে সেসব থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কাজে দিত। পুরোপুরি না হলেও প্রযুক্তিরগত দিক দিয়ে উন্নতি করলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান করা হবে।’
শেখ রাসেল-সাইফ এসসি, বসুন্ধরা পুলিশ ম্যাচেই বেশি অভিযোগ
চলমান বিপিএল ফুটবলে দুটি ম্যাচ নিয়ে বাজে রেফারিংয়েল অভিযোগ ওঠেছে বেশি করে। ১৩ ফেব্রæয়ারি সাইফ এসসি-শেখ রাসেল ও ১৭ ফেব্রুয়ারি বসুন্ধরা কিংস-পুলিশ এসসির ম্যাচেই বাজে রেফারিংয়ের বিষয়টি সমানে চলে এসেছে। সাইফ-রাসেল ম্যাচে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত মানতে না পারা সাইফের খেলোয়াড়রা ম্যাচ শেষে রেফারিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানায়।
কিন্তু, ম্যাচ শেষে রেফারি ও ম্যাচ কমিশনার চিঠিতে অভিযোগ করেন যে, অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া নাকি রেফারিকে লাথি মারেন, পরে সেটি সহকারী রেফারির গায়ে লাগে। এরপর ভিডিও ফুটেজসহ সবকিছু বিশ্নেষণ করে বাফুফে ডিসিপ্লিনারি কমিটি এর সত্যতা পায়নি। মোহামেডানের বিপক্ষে ঠিক পরের ম্যাচেও রেফারির বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত ক্ষোভ জানায় সাইফ।
এরপরই আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার হুমকি দেয় ক্লাবটি। অন্যদিকে ১৭ ফেব্রæয়ারি নিজস্ব স্পোর্টস কমপ্লেক্সে পুলিশ এসসির বিপক্ষে ম্যাচে বসুন্ধরার পক্ষে বাশি বাজানোর অভিযোগ ওঠে রেফারিদের বিরুদ্ধে। যে পেলান্টি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দেওয়া হয়েছে সেটিকে ন্যায্য বলারও কোন সুযোগ নেই। অনেকেই বলছে, বড় দল হিসেবে বসুন্ধরা এই সুবিধা পেয়েছে।
- ইচ্ছাকুত ভুল দেখছেনা রেফারিজ কমিটি!
সাবেক ফিফা রেফারি মনসুর আজাদ বাফুফের রেফারিজ কমিটিকে সেচ্ছাচারি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কাগজে কলমে অভিজ্ঞ রেফারি থাকার কথা থাকলে সেটি মোটেও হচ্ছেনা বলেও অভিযোগ তার। যার প্রভাব মাঠে পড়ছে বলে পরিস্কারভাবে বলেছেন মনসুর আজাদ।
তবে, বিষয়টিকে এভাবে মানতে নারাজ বাফুফের হেড অব রেফারি আজাদ রহমান, ‘দেখুন সাম্প্রতিক সময়ে অনেক অভিযোগ ওঠেছে রেফারিদের বিরুদ্ধে। কিছু ভুল যে হচ্ছেনা সেটি আমি অস্বীকার করছিনা। সেই সুযোগও আমাদের সেভাবে নেই। এখন আমরা চেষ্টা করছি যতটা ভুল কম হয়। বাফুফে সভাপতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা রেফারিদের নিয়ে নিয়মিত কাউন্সেলিং করছি। তবে বিদেশি রেফারি চাইনা। সামনের ম্যাচগুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছি।’
- এবার কি তাহলে বিদেশি রেফারি আসছে?
রেফারি নিয়ে সমস্যার পাশাপাশি বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি। তাই বারবারই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সিনিয়র সহ সভাপতি সালাম মুর্শেদীকে। যেহেতু মাত্র কয়েক রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই সামনের বড় ম্যাচগুলোতে বিদেশি রেফারির দাবি আরও বেশি জোড়ালো হচ্ছে।
বিপিএলে আগে মৌসুমের প্রথম দুই টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপেও বেশ কয়েকটি ম্যাচে বাজে রেফারিংয়ের অভিযোগ ওঠেছিল। এরপর বিদেশি রেফারি আনারও পরিকল্পনা করেছিল বাফুফে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বিপিএলের বেশ কয়েকটি ম্যাচে বিতর্কিত রেফারিংয়ের পর বাফুফে সভাপতি বলেছেন ’দুটি ম্যাচে বড় অভিযোগের পর রেফারিদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। আলোচনা করে চ্যাম্পিয়ন ও রেলিগেশন ফাইটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে বিদেশি রেফারি আনার চেষ্টা করছি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই জটিল হওয়ায় বিদেশি রেফারি আনতে খরচের বিষয়টিও ভেবে দেখতে হবে। তবে জটিলতা এড়াতে আমরা বিদেশি রেফারি আনার চেষ্টা করছি।’