রিশাদ হোসেন, আগুন পাখির ডানা

সামনে যখন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ‍তখন রিশাদ হোসেন তো জ্বলে উঠবেনই – হোক সেটা ব্যাটিং কিংবা বোলিং। সিলেটে বসে, হাসারাঙ্গার বোলিংয়ে রীতিমত দানবীয় এক ব্যাটারে পরিণত হয়েছিলেন রিশাদ। আর হাসারাঙ্গা এবার রিশাদের তোপটা দেখলেন বোলিংয়ে। যার আগুনে নেমে মাত্র একটা ডেলিভারি উইকেটে টিকলেন এই লঙ্কান অলরাউন্ডার।

দু’দলের দুই লেগ স্পিনারের লড়াইয়ে এখন অবধি জয়ী রিশাদ হোসেন। আর এটা তার জন্যও বড় একটা স্টেটমেন্টও বটে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাজির ঘোড়া তিনি। আর প্রথম বাজিটা জিতেই নিলেন রিশাদ।

রিশাদের ওপর বাংলাদেশের আস্থার শেষ নেই। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে – দু’জনেরই বাজির ঘোড়া রিশাদ হোসেন। আর সেই আস্থার শতভাগ প্রতিদার দিলেন রিশাদ।

প্রথম দুই ওভার উইকেটশূণ্য থাকলেও তিনি নিজের জাত চেনাতে ভুলেননি। চারিথ আসালাঙ্কার বিপক্ষে একটা ছক্কা না দিলে ইকোনমি রেটটাও থাকত লাগামের মধ্যেই। তবে, শেষ দুই ওভারে আক্ষরিক ভাবেই নাচিয়ে ছেড়েছেন লঙ্কান ব্যাটারদের।

প্রথম দুই ওভারে ১৬ রান দেওয়ার পর তৃতীয় ওভারের প্রথম দুই বলেই উইকেট। বিপজ্জনক আসালাঙ্কা আর হাসারাঙ্গা। পরের ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, সব মিলিয়ে চার ওভারে ২২ রান দিয়ে রিশাদ নেন তিন উইকেট পান। শুরু হিসেবে এর চেয়ে দারুণ আর হতেই পারে না।

রিশাদকে ধরলে এখন বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকেও বেশ বৈচিত্রময় বলা চলে। বাঁ-হাতি পেসার, ডান-হাতি পেসার। সাথে বাঁ-হাতি ও ডান-হাতি স্পিন আক্রমণের সাথে এবার যোগ হলেন একজন লেগ স্পিনার। তবে, এটা ঠিক রিশাদকে এখনও অনেক দূর যেতে হবে।

লেগ স্পিনারদের জন্য সব সময়ই মিতব্যয়ী বোলিং করাটা শক্ত। তবে, সময়ের সাথে সাথে এই সমস্যার কিছুটা পরিচর্যাও হওয়া দরকার। রিশাদ নিজেও এই সমস্যার বাইরে নন। রিশাদের আরেকটা সমস্যা হল, লেগস্পিনারদের অন্যতম প্রধান অস্ত্র গুগলিটা এখনও পুরোপুরি আয়ত্ত করতে পারেননি তিনি। সেটা করতে পারলেই বাংলাদেশ দলের জন্য বড় সম্পদ হয়ে উঠতে পারবেন তিনি।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এবার শুরু হবে রিশাদের আগুন পরীক্ষা। রিশাদ কি পারবেন আগুন পাখির মত ডানা মেলে উড়তে?

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link