Social Media

Light
Dark

নয়া বৈচিত্র্যের সন্ধানে রিশাদ

গুগলি করবার চেষ্টা করছেন রিশাদ হোসেন। এই একটা অস্ত্রের অভাবই বরং ছিল তার ঝুলিতে। সেই অভাবটাকে আর অভাব রাখতে চাইছেন না রিশাদ হোসেন।

ads

বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন রিশাদ হোসেন। একমাত্র লেগস্পিনার হিসেবে রয়েছেন দলে। পারফর্মও করছেন তিনি। তবে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলকে সার্ভিস দিতে হলে তো বৈচিত্র থাকা চাই। সেই বৈচিত্র্য তার মধ্যে রয়েছে বটে। কিন্তু একজন লেগস্পিনারের সবচেয়ে ভয়ংকর অস্ত্র গুগলি ছিল অনুপস্থিত।

সেই অনুপস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘদিন টিকে থাকা যাবে না, সেটা ভাল করেই জানেন রিশাদ। তাইতো অবসর সময়টুকু হেলায় হারাচ্ছেন না তিনি। শিখতে চাইছেন গুগলি। তাকে সঙ্গ দিলেন শাহেদ মেহমুদ। নামটা খুব একটা পরিচিত নয় হয়ত।

ads

তবে শাহেদ মেহমুদ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত। গেল প্রায় এক বছর ধরে দেশের ক্রিকেটের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন পাকিস্তানের কোচ। তিনি লেগ স্পিনারদের অন্বেষণ চালিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। নেহায়েত যোগ্য বলেই তাকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

পাকিস্তানের লেগস্পিনিং কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ এসেছিলেন স্পিন পরামর্শক হিসেবে। তবে তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। তাকে রাখতে চেয়েছিল বিসিবি। কিন্তু ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে আগে থেকেই চুক্তিবদ্ধ ছিলেন তিনি। অগ্যতা তার সান্নিধ্য এই মুহূর্তে আর পাচ্ছেন না রিশাদ।

তাই বলে নিশ্চয়ই হাতের উপর হাত রেখে বসে থাকা মানায় না তার। সেজন্য মিরপুর একাডেমি মাঠে হাজির হয়েছেন রিশাদ। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অনুশীলন করেছেন। তার বোলিংয়ের খুঁটিনাটি ভুলগুলো শুধরে দিয়েছেন শাহেদ মেহমুদ। এমনকি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেও দেখিয়েছেন রিশাদের ভুলগুলো।

মূলত রিশাদের নন বোলিং আর্মের সুইং আর বোলিং আর্মের সুইংয়ের মধ্যে সমন্বয় হচ্ছে না ঠিকঠাক। তাতে করে বলের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারেন রিশাদ। তাছাড়া হাতের ইনজুরিতেও পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই কারণেই শাহেদ তার দুই হাতের সমন্বিত সুইংয়ের উপর দিয়েছেন মনোযোগ।

লেগ স্পিনারদের বলা হয় সাদা হাতি। তাদের পরিচর্যা করতে হয় অন্য সবার থেকে বেশি। সেই বিষয়টি একটু দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে বিসিবি। তাইতো রিশাদেরকে নিজেদের ভরসায় ছেড়ে দিচ্ছেন না। তাঁদেরকে দেখভাল করবার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। রিশাদের উন্নতির পথটা তাই নতুন করে অবরুদ্ধ হবে না বলেই প্রত্যাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link