পাওয়ার হিট করতে জানেন। হাতে শটের রেঞ্জও কম নয়। নিজের দিনে একবার রান করা শুরু করলে থামানো কঠিন রিশাদ হোসেনকে। আর, সেই ঝড়টা যদি ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে হয় – তাহলে তো আর কথাই নেই।
তাই তো, এবার রিশাদ হোসেনের ব্যাটিং অর্ডার এগিয়ে এনেছিল বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। সিদ্ধান্তের কারণটা পরিস্কার – প্রথমত, বাংলাদেশের ইনিংসের মধ্যভাগে স্পিনারদের বিপক্ষে দ্রুত রান করতে পারা একজন ব্যাটার রাখা। দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষের বোলিং পরিকল্পনা ধসিয়ে দেওয়া।
তবে, বলা যায় কার্যত বাংলাদেশের কোনো পরিকল্পনাই শেষ অবধি সফল হয়নি। চার নম্বরে উইকেটে এসে মাত্র চার বল স্থায়ী হয় রিশাদের ইনিংসে। করতে পারেন মাত্র দুটি রান। অস্ট্রেলিয়াও নিজেদের কৌশল পাল্টায়নি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাডাম জাম্পার বোলিং আক্রমণ থেকেও সরেনি তাঁরা।
তবে, নি:সন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার মত দলের বিপক্ষে এটা দারুণ সাহসী এক সিদ্ধান্ত। হয়তো এই রণকৌশল ম্যাচের ফলাফলে কোনো প্রভাব রাখবে না। তারপরও এটা খুবই সময়োপযোগী ও সাহসী সিদ্ধান্ত। এটা চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক একটা স্টেটমেন্ট।
তাই, ফলাফল না আসলেও এই সিদ্ধান্ত প্রশংসার দাবি রাখে। সত্যিকার অর্থে এটা একটা ‘জুয়া’। এই জুয়া একদিন কাজে লাগবে, একদিন কাজে লাগবে না। যেদিন কাজে লাগবে – সেদিন বোঝা যাবে এই কৌশলের সক্ষমতা।
সাথে রিশাদের বোলিং তো আছেই। ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোলিংয়ে যথারীতি ছিলেন সরব। এখন নিজের মূল কাজে তিনি আগের আগের থেকে অনেক দক্ষ। তিন ওভার বোলিং করে ২৩ রান দিয়ে দুুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। যদিও, তাতে শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের।