দেশে থাকতে শেষ টানা কয়েকটা দিন অসংখ্য গণমাধ্যমে কথা বলে গেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লম্বা যাত্রার আগে তাঁর কণ্ঠে বলার মত আর কোনো কথা বাকি নেই। এর মধ্যে সংবাদ মাধ্যমের আবদার মেটাতে হল তাঁর। জানিয়ে গেলেন আশার বানী। জানালেন, নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে কতটা মরিয়া বাংলাদেশ দল।
রিয়াদ বলেন, ‘সবার কাছে দোয়া প্রার্থী। আমার মনে হয়, এবারের বিশ্বকাপটা আমাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ, অবশ্যই যদি আমরা ভাল ক্রিকেট খেলতে পারি, ধারাবাহিক ভাবে পারফরম করতে পারি। গত কয়েকটা সফরে আমরা যেভাবে খেলেছি, সেভাবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যদি খেলতে পারি তাহলে আমাদের পক্ষে ভাল ফলাফল নিয়ে আসা সম্ভব।’
বিশ্বকাপের আগে টানা তিনটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। এর মধ্যে ছিল র্যাংকিংয়ে ওপরের দিকে থাকা দু’দল নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ফলে, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের জন্য অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে আলাদা। প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি।
সেই বাস্তবতা বোঝেন রিয়াদ। সেটা মেনেই বললেন, ‘আমি জানি আমাদের ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি। আর সেই প্রত্যাশাটা তখনই মেটাতে পারবো, যখন আমরা নিজেদের নামের প্রতি প্রতি সুবিচার করে প্রত্যাশামাফিক পারফরম করতে পারি। এজন্য আমাদের সামনে আছে প্রথমে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ, এরপর মূল পর্ব। আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে যদি যাওয়া যায়, তাহলে আমরা চেষ্টা করবো যত বেশি সংখ্যক ম্যাচ জেতা যায়।’
টি-টোয়েন্টিতে বরাবরই বাংলাদেশ ব্যাকফুটে থাকা দল। গেল যতগুলো বিশ্বকাপ বাংলাদেশ খেলেছে – তার কোনোটাতেই বলার মত সাফল্য নেই বাংলাদেশের। সেই বাস্তবতা মেনেই রিয়াদ বললেন, ‘আমি জানি, আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বলার মত কোনো সাফল্য নেই। প্রথমে চেষ্টা করবো ওই বাঁধাটা যেন ভাঙতে পারে। এরপর কেউ জানে না – সামনে কি হতে যাচ্ছে।’
অধিনায়ক হিসেবে এবারই প্রথমবারের মত কোনো আইসিসি ইভেন্টে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। কতটা রোমাঞ্চ বোধ করছেন? – রিয়াদের জবাব, ‘এটা আমার জন্য বড় সম্মানের ব্যাপার। একই সাথে এটা আমার জন্য বড় একটা দায়িত্ব। চেষ্টা করবো – সবাই মিলে, সবাই যেন নিজেদের দায়িত্বটা ভাগাভাগি করে নিতে পারি। চেষ্টা থাকবে যেন দেশের জন্য ভাল কিছু করতে পারি।’
আবহাওয়াজনিত কারণে ফ্লাইট প্রায় তিন ঘণ্টা বিলম্বিত হওয়ার পর রাত দেড়টার দিকে বাংলাদেশ ছাড়ে রিয়াদদের বহনকারী বিমান। স্থানীয় সময় আজ ভোর চারটার দিকে নিরাপদেই মাসকাটে অবতরণ করেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে একদিনের কোয়ারেন্টিন শেষে শুরু হওয়ার কথা মাহমুদউল্লাহদের অনুশীলন।
। সেখানে প্রথমে বাংলাদেশ দল আইসিসির নির্ধারিত দু’টি প্রস্তুতি মূলক ম্যাচ খেলবে। সেটা শেষ করে ১৭ অক্টোবর ‘বি’ গ্রুপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাত্রা করবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এরপর ১৯ ও ২১ অক্টেবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনি।