দূঃস্বপ্নের মতো একটি আইপিএল মৌসুম পার করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এ এসেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে বিশ্বকাপে এসেই নিজেকে বদলে ফেলেছেন ভারতের এই অলরাউন্ডার। প্রায় প্রতি ম্যাচে ব্যাটে বলে অবদান দিয়ে ভারতের জয়ে ভূমিকা রাখছেন তিনি।
গুজরাট থেকে মুম্বাইয়ে এসেই রোহিত শর্মার স্থলে অধিনায়ক হন হার্দিক। তবে ব্যাটে বলে কোনো অবদান না দেওয়ার সাথে সাথে অধিনায়ক হিসেবেও ব্যার্থ ছিলেন তিনি। যার ফলে টেবিলের তলানি থেকেই আইপিএল শেষ করতে হয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের। তবে সেসব কিছু অতীতে ফেলে বিশ্বকাপে আবার নিজের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন পান্ডিয়া।
নিয়মিত ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচগুলোতে বল হাতে অসাধারণ বোলিং করে গেছেন হার্দিক। তিন ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের এই অলরাউন্ডার। ইনিংসে শেষের দিকেও বোলিংয়ে অধিনায়কের ভরসার জায়গা ছিলেন হার্দিক। তাঁর এমন বোলিংয়ে পারফরম্যান্সে খুশি ভারতের বোলিং কোচ পারাস মাহামব্রে।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি বিষয়ে একদম নিশ্চিত যে তাঁর সামর্থ্যের ওপর আস্থা আছে। কখনো কখনো একটি টুর্নামেন্টে ছন্দে না থাকলে, চেষ্টা করেও ছন্দে আসা যায় না। এর জন্য সময় লাগে, সে একটা পর্বে ছিল যেখানে সে ছন্দে আসেনি।’
যদিও হার্দিক তাঁর ছন্দ ফিরিয়ে আনার জন্য নিজের চেষ্টা করেছেন। তবে সেখানে অন্য কেউ আছেন যিনি কিছুটা কৃতিত্বের দাবিদার। তিনি হলেন তাঁর অধিনায়ক রোহিত। হার্দিকের সাথে রোহিতের ব্যাক্তিগত সমস্যা থাকলেও ভারতীয় দল নির্বাচনে তিনি এসকল কিছু সরিয়ে রেখেছেন।
রোহিত জানতেন যে বিশ্বকাপে চার অলরাউন্ডারই হবে তার সেরা বাজি। এবং এর জন্য তাঁর দরকার হার্দিককে। হার্দিকও তাঁর অধিনায়কের ভরসা রেখেছেন। গ্রুপ পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচে দূর্দান্ত বল করে গেছেন তিনি।
গ্রুপ পর্বে ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করার খুব একটা সুযোগ পাননি হার্দিক। তবে সুপার এইটে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩২ রান করে ব্যাট হাতে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
আর বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ২৭ বলে অপরাজিত ৫০ রান করে জানান দেন যে ব্যাট হাতেও ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন তিনি।