চেন্নাইতে ততক্ষণে ভারত-অস্ট্রেলিয়া মহারণ তুঙ্গে। অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৯ রানে আটকে দিয়েও সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে তেমন স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে নেই ভারত। তবে ম্যাচজুড়ে বিরাট-স্মিথ, রোহিত-ওয়ার্নার, বুমরাহ-স্টার্কদের দ্বৈরথের মাঝে চোখ আটকে গেল একটি জার্সিতে। ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের পরনে দেখা গেল কমলা রঙের এক জার্সি। চিরায়ত নীল জার্সি ছেড়ে ভারতীয় শিবিরে হঠাৎ কমলা রঙের জার্সির আনাগোনা কেন?
ততক্ষণে গুঞ্জন চাওর হয়েছে যে, আগামী ১৪ অক্টোবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে এই গেরুয়া রঙের জার্সি পরে মাঠে নামবে টিম ইন্ডিয়া। এরপর সেই জার্সিটি নিলামে তুলে ইউনেস্কোকে দেওয়া হবে। এমন গুঞ্জন বাতাসের মতো ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে কর্ণপাত হয় বিসিসিআই কর্তাদেরও। তাই আর বিলম্ব না করেই জানিয়ে দেওয়া হলো, যা ছড়িয়েছে, তার পুরোটাই ভুয়া।
বিসিসিআই-এর কোষাধ্যক্ষ আশিষ শিলার বলেন, ‘গেরুয়া রঙের জার্সি পরে নামার সব খবরই ভিত্তিহীন। ভারত এবারের বিশ্বকাপে সব ম্যাচেই নীল জার্সি পরে খেলবে। আগামী ১৪ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও কোহলিরা এই এক জার্সি পরেই খেলবে।’
মূলত এবারের বিশ্বকাপে নতুন ট্রেনিং কিট ব্যবহার করছে ভারত। তাতেই নজর কেড়েছে গেরুয়া রঙের জার্সি। আর সেই জার্সি নিয়েই শুরু হয়েছে যতসব জল্পনা কল্পনা, একই সাথে গুঞ্জনও। কিন্তু একটা দলের জার্সির পরিবর্তন তখনই হয় যখন দুটো দলের জার্সির রঙ প্রায় এক হয়।
সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দলের অ্যাওয়ে জার্সি পরে খেলতে নামতে হলে আইসিসি’র অনুমোদনেরও প্রয়োজন হয়। তবে এবারের বিশ্বকাপে কোনো অ্যাওয়ে জার্সির নিয়ম নেই। আর তাই কোনো দল চাইলেও ভিন্ন জার্সি পরে ম্যাচ খেলতে পারবে না।
অবশ্য সর্বশেষ বিশ্বকাপে আবার হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে জার্সির প্রচলন ছিল। আর তাতে নীলের সাথে এই গেরুয়া রঙের মিশেলে ভিন্ন এক জার্সি পরেই একবার মাঠে নেমেছিল ভারত। ইংল্যান্ডের মাটিতে হওয়া সেবারে বিশ্বকাপে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সে জার্সি পরে নেমেছিল ‘মেন ইন ব্লু’ নামে পরিচিত ভারতীয় ক্রিকেট দল।