ডিফেন্স চেরা দৌড়ে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, শট নিলেই গোল কিন্তু তিনি বাড়িয়ে দিলেন পাশেই থাকা ব্রুনো ফার্নান্দেজের দিকে। খালি পোস্ট পেয়ে বল জালে জড়াতে ভুল হয়নি তাঁর; আর এই গোলের মধ্য দিয়ে তুরস্কের বিপক্ষে বড় জয় নিশ্চিত হয়েছে পর্তুগালের, একই সাথে রেকর্ড গড়েছেন রোনালদো নিজেই।
এখন পর্যন্ত ইউরো টুর্নামেন্টে সবমিলিয়ে রেকর্ড আটটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি; ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় এর চেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট করতে পারেননি আর কেউই। ফলে ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের আসন এখন তাঁর দখলে।
এর আগে অবশ্য সর্বোচ্চ গোলদাতার কীর্তি নিজের করে নিয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা। ষষ্ঠবারের মত ইউরোতে খেলতে নামার আগেই ১৪ খানা গোল করে ফেলেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল করেছেন মিশেল প্লাতিনি, ফরাসি কিংবদন্তির গোল সংখ্যা নয়টি। সিআরসেভেনের সঙ্গে ব্যবধানটা স্পষ্টই বটে।
যদিও ইউরোর মূল পর্বে সর্বোচ্চ ম্যাচও খেলেছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। এখন পর্যন্ত ২৭টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি, তবু একইসাথে গোল আর অ্যাসিস্ট বিভাগে সর্বেসর্বা হয়ে ওঠা নি:সন্দেহে বিশেষ কিছুই – ফুটবলে তাঁর অবস্থান কতটা উপরে সেটিই যেন আরেকটা প্রমাণ হলো।
অথচ ইউরোর আগে দলের নিয়মিত একাদশে এই স্ট্রাইকারকে রাখা হবে কি না সেটা নিয়েই ছিল সন্দেহ। তাঁকে বেঞ্চে রাখা হোক এমন গুঞ্জনও উঠেছিল জোরেসোরে। কিন্তু কোচ রবার্তো মার্টিনেজ ভরসা রেখেছেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের ওপর, ভরসা রেখেছেন ফুটবলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার ওপর। এখন দেখার বিষয়, ভরসার প্রতিদান কতটুকু দিতে পারেন পাঁচবারের ব্যালন জয়ী ফুটবলার।
চলতি ইউরোতে এখন গোল করা হয়নি তাঁর, আপাতত সেটার অপেক্ষায় আছে পুরো বিশ্ব। নক আউট পর্বের আগে তিনি সেরা ছন্দে ফিরলে পর্তুগালের সম্ভাবনার পারদ নিশ্চিতভাবেই অনেক উপরে উঠবে।